পাতা:রশিনারা.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4ց . রশিনারা । পৰ্য্যন্ত মনে মনে এই প্রশন করিলেন, অথচ তাহার প্রকৃত উত্তর পাইলেন না । ক্রোধাতিশয্য বশতঃ প্রথমে তিনি ইহার কিছুই স্থিরতা করিতে পারিলেন না। মন্ত্রণার অনুরোধে ক্ৰোধ সংযম করিতে বাধ্য হইলেন ; ক্রমে ক্রোধ যত শিথিল হইতে লাগিল, ততই বুদ্ধি স্থির করিয়া কৰ্ত্তব্য কর্মের সিদ্ধান্ত । করিতে লাগিলেন। “ সেনাপতির কি রাজনিয়মানুসারে দণ্ড করির ? না, নাতাহা করিব না । রাজনিয়মানুসারে দণ্ড করিলে ভবিষ্যতে আমার অনিষ্ট হইবে সৈন্য-সামন্ত প্রভূতি অনুচরেরা আমাকে নৃশংস বিবেচনা করিবে । বিশেষ রশিনার বিবেচনা করিবেন, প্রভূগণ অধীন লোকদিগের অপরাধ পাইলে যথানিয়মে তাহাদের দণ্ড করিয়া থাকেন । অতএব ইহার দণ্ড করিতে আমার উপায়ান্তর অবলম্বন করিতে হইল ; কল্য যখন তাহার অপরাধের বিচার করিব, তখন তাহাকে জল্পাদের হস্তে সমপণ না করিয়া সুতীক্ষ নিন্ত্রিণশ মাত্র অবলম্বন পূর্বক দুরাত্মাকে দ্বৈরথ যুদ্ধে আহ্বান করিব ; ইহাতে প্রাণ যায়, অস্তে স্বৰ্গ লাভ হইবে । আর যদি আমার হন্তে তাহার জীবন শেষ হয়, তবে দুরাচারের দণ্ড হইল,—অথচরশিনারার জন্য যে আমি প্রাণ দিতেওঁ পরাখুখ নহি, ইহা জানিতে পারিয়া তিনি আমাকে অবশ্যই স্নেহ করবেন ; অনুচরেরাও আমাকে সমধিক ভক্তি করবে। ” যেমন ভূধর আরোহণ কালে লক্ষ্য স্থির রাখিয়া সাবধানে পদধিক্ষেপ করিতে করিতে অভীষ্ট স্থানে গমন করা যায়, শিবঞ্জী সেইরূপ কর্তব্য কর্মের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া অনেক চিন্তার । পর মন্ত্রণায় সিন্ধান্তু করিলেন । মন্ত্রণ স্থির হইল বলিয়া