পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७% श्रृंः ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৩০৫ ভগবানেরই মূৰ্ত্তি, তবে কাহার উপরে ভক্ত ঘৃণা করিবে, রাগ করিবে, দ্বেষ করিবে, হিংসা করিবে,---কাহার দ্রব্য অপহরণ করিয়া আনিবে ? শাস্ত্র বলেন,— এবং সৰ্ব্বেষু ভূতেষু ভক্তিরব্যভিচারিণী। কৰ্ত্তব্য পণ্ডিতৈজ্ঞাত্বা সৰ্ব্বভূতময়ং হরিং , “হরিকে সৰ্ব্বভূতময় এবং সৰ্ব্বভূতে অবস্থিত জানিয়া জ্ঞানী ব্যক্তির সর্বভূতের প্রতি অব্যভিচারিণী ভক্তি প্রয়োগ করা কৰ্ত্তব্য।”—প্রবল সৰ্ব্বগ্রাসী এই ভাবের দ্বারা আত্মনিবেদনের তত্ত্ব উপস্থিত হয়। তখন মানুষ বুঝিতে পারে, এ জগৎ আমারই প্রাণের জিনিষ—এ জগতের সারই আমার প্রাণের পদার্থ। - এখন কথা এই যে, সেই যে জগতের প্রতি ভালবাসাপ্রাণের ঐকান্তিকী টান—হৃদয়ের নেশা—তাহা হয় কি প্রকারে ? প্রেম-ভক্তিতে,—তাই প্রেমভক্তি সাধ্য। তাই এতক্ষণ পরে চৈতন্যদেব প্রেমভক্তির কথা শ্রবণ করিয়া বলিলেন,—“এহো হয়” ] , প্রথমে সমষ্টিকে ভাল না বাসিলে ব্যষ্টিকে ভালবাসা যায় না, ভগবানই সমষ্টি—সমুদয় জগতের যেন । একটা অসাধারণ ভাব, আর এই পরিদৃশুমান জগৎ ব্যষ্টি † সমষ্টিকে ভালবাসিলেই সমুদয় জগতকে ভালবাসিতে পারা যায়। এই সমষ্টিই যেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষ লক্ষ খণ্ডের সংযোগ লন্ধ একস্থম্বরূপ।