পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रुिड़ शब ! বনে গিয়াও তিনি মন বাধিতে পারিলেন না। যাহার তাহার বিপদে অন্তকে ভজনা করিল, যাহার একটি মুখের কথায়ও সান্থনা করিতেও বিমুখ হইল, যাহার তাহাকে উৎসবাস্তের বাসিফুলের ন্যায় দূরে ফেলিতে কিছুমাত্র কষ্টবোধ করিল না,—তাহাদের মায়ায়—তাহাদের বিরহে তিনি ব্যথিত ও জর্জরিত হইতে লাগিলেন। তাহীদের বিরহজনিত প্রবল কষ্ট্রে তিনি দিবারাত্রি দগ্ধ হইতে লাগিলেন। তাই একদা মহামুনি মেধসের সাক্ষাৎ পাইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“প্রভো! যাহারা আমাকে পায়ের কন্টকের ন্তায় দূর করিয়া দিয়াছে—যাহারা আমার শত্রুর বশামুগ হইয়া আমার প্রতি নিতান্ত বাম হইয়াছে ও নিষ্ঠুরের ন্যায় ব্যবহার করিয়াছে, তাহাদের জন্ত আমার প্রাণ দিবানিশি এরূপ করিয়া কেন পুড়িতেছে—কেন কাদিতেছে! আমি ত -বুঝিতে পারিতেছি, তাহারা আমার সহিত যে প্রকার সৎব্যবহার করিয়াছে, কিন্তু তথাপি কেন তাহাদের জন্ত এ মোহাকর্ষণ ? আমি জ্ঞানহীন নহি--জ্ঞান আছে, সকলই বুঝিতে পারিতেছি, -তথাপি কেন এ মরম-ক্ৰন্দন ? এ আকুল যাতনা ? আমি যদি না বুঝতে পারিতাম, আমি যদি তাহদের ব্যবহার ভুলিয়া যাইতাম,—আমি যদি জ্ঞানহীন হইতাম,—তবে না হয়, এরূপ হইতে পারিত। আমার জ্ঞান আছে—অথচ মনকে কিছুতেই বাধিতে পারিতেছি না। দিবানিশিই তাহাদের জন্য প্রাণের অন্তস্তলে হাহা করিতেছে। ( 8२ ) *