পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। & 8? অভাব হওয়ায় কবিরাজ মহাশয় গৃহাঙ্গণে বসিয়া চিন্ত৷ করিতেছিলেন। তদর্শনে তদীয় গৃহিণী বলিলেন,—“অত চিন্তা করিতেছ কেন ? তুমি কিছু মূৰ্খ নহ,—একটু যদি বিদেশে বাহির হইয়া চিকিৎসা কাৰ্য্য কর, তবে তোমার ভাবনা কি !” গৃহিণীর এই উপদেশ বাক্য র্তাহার মৰ্ম্মস্পর্শ করিল, তিনি বিদেশে যাইয়া চিকিৎসা করিবেন, স্থির করিলেন । কিন্তু তাহার সকল দিকেই অভাব ! যাহা হউক, অর্থের অভাব একরূপ গৃহিণী ঘুচাইয়া দিলেন,—তাহার পিতৃপ্রদত্ত একখানি সামান্য অলঙ্কার যাহা ছিল, তাহ বন্ধক দিয়া গুটি কয়েক মুদ্রা আনিয়া দিলেন,—কিন্তু একজন কম্পাউণ্ডার বা কাৰ্য্যকারক লোকের প্রয়োজন । কবিরাজ মহাশয় তাহার অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। গ্রামের হারাধন রায় নিষ্কৰ্ম্ম এবং দরিদ্র,—কিন্তু বোকা-দুষ্ট। কবিরাজ মহাশয় তাহাকে বলিলেন,— "হারাধন ! আমি বিদেশে চিকিৎসা ব্যবসায় করিতে যাইব, তুমি আমার সঙ্গে যাইবে? আমার সঙ্গে থাকিলে আমি তোমাকে মাসে মাসে কিছু দিব, আর কবিরাজিও পড়াইবা যদি চারি পাঁচ বৎসর আমার নিকট থাকিয়া ঔষধ প্রস্তুত প্রকরণ, রোগ-পরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রণালী এবং ভৈষজ্যশিক্ষা করিতে পার, তবে ভবিষ্যতে খুব ভাল কবিরাজ ন হইলেও একজন চিকিৎসক হইতে পারিবে, তাহাতে ( 8७ )