পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
রসমঞ্জরী।

 আঁচড়িয়া কেশ পাশ, পরিয়া উত্তম বাস, সখী সঙ্গে পরিহাস, গীত বাদ্য রটনা। চামর চন্দন চুয়া, ফুলমালা পাণ গুয়া, হাতে লয়্যা শারীশুয়া, কামরস পঠনা॥ কিঙ্কিণী কঙ্কণ হার, বাজুবন্ধ সিঁতি টাড়, নূপুরাদি অলঙ্কার, নিত্য নব পরণা। যোগী যেন যোগাসনে, বসিয়া ভাবয়ে মনে, কত ক্ষণে বন্ধু সনে, হইবেক ঘটনা॥

অথ উৎকণ্ঠিতা।

 স্বামীর বিলম্ব যেই ভাবে অনুক্ষণ। উৎকণ্ঠিতা তাহারে বলয়ে কবিগণ॥

 হইল বহু নিশি, প্রকাশ হয় দিশি, আইল কেন নাহি কালিয়া। পিকের কলরব, ডাকিছে অলি সব, অনলে দেও দেহ জ্বালিয়া॥ তিমির ঘনতরে, সভয় বনচরে, ফিরয়ে কিবা পথ ভুলিয়া। অপর সখীরসে, রহিল পরবশে, মদনে মোরে দিল যে জ্বালিয়া॥

অথ অভিসারিকা।

 স্বামীর সঙ্কেত স্থলে যে করে গমন। তারে অভিসারিকা বলয়ে কবিগণ॥

 নিকট সঙ্কেত সময় আইল, শুনে রসময়ী মুরলী গাইল, ধরি ধনুশর মদন ধাইল, চলে নিধুবনে কামিনী। পিক কলকলি শারিশুক ধ্বনি, ফুটে বনফুল ভ্রমর গুণগুণী, তাহাতে মিলিত নূপুর রুণরুণী, শীঘ্র চলে মৃদুগামিনী॥ বাছিয়া পরিলেক নীল অম্বর, মদন হেম গৃহে মেঘ ডম্বর, পথিক জন ডর