[ Sb. I ১৬।--কিরূপে জলজান সঞ্চয় করা যায় । ১৪ পরীক্ষা।—এক খানি খলে কিয়ং পরিমাণ পার ও সোডিয়ম রাখিরা, পেষণিদ্বারা pেertle] মিশ্রিত কর। ঐ তরল পারদ-মিলিত পদার্থটা একটা জলপূর্ণ পাত্রের মধ্যে ঢালিয়া দেও, এবং নিৰ্গত-জলজান সঞ্চয় করিবার জন্যে একটা জলপূৰ্ণ পরীক্ষার্থনল অধোমুখে পাত্রের মধ্যভাগে স্থাপন কর । সোডিয়ম-সান্নিধ্যে জল ক্রমশঃ বিশ্লিষ্ট כלכי হইরা যাইবে ; জলের অমুজানভাগ সোডিয়মের সহিত মিলিত হইয়া সোডা নামক পদার্থ উৎপন্ন করিলে এবং জলজানভাগ পরীক্ষার্থ-নলে সঞ্চিত ছইবে । সঞ্চিত জলজান জ্বালিয়া দিলে ঈষনীল ও স্বপোজ্জ্বল কিন্তু অত্যুত্তপ্ত অগ্নিশিখা নিঃসৃত হইবে। এই স্বপোজল অগ্নিশিখাই জলজানের অস্তিত্ব-পরিসূচক । জল ৭ । ১৭ —জলজান প্রস্তুত করিলার অন্যান্য উপায়াবলী। অনান্য অনেক গুলি ধাতুর সন্নিধ্যে জল বিশ্লিষ্ট হয়। বিশিষ্ট জলের অমুজান ধাতুর সহিত সংযুক্ত হইয়া অমুজ বা অক্সাইড roxid"] নামক পদার্থের উৎপাদন করে, এবং জলজান-ভাগ অসংযুক্ত অবস্থায় নির্গত হয়। পেটাসিয়ম ও সোডিয়মের ন্যায় কতকগুলি ধাতু তাপের সাহায্য ব্যতীত জল বিশ্লিষ্ট করিতে পারে। তাবরি লৌহ প্রভূতি কতক গুলি ধাতুকে তাপ দিয়া তপ্তলাল না করিলে জল বিশ্লিষ্ট করিয়া অমৃজন-সংযোগে “ লৌহের অমুজ” [Oxide of Irou] বা “ লৌহ মরিচ1" উৎপন্ন করিতে সমর্থ হয় না। কিন্তু দস্তাপ্রভৃতি কতকগুলি ধাতু অমুক্তিজলকে তাপের সাহায্য ব্যতীত ও বিশ্লিষ্ট করিতে পারে। ১৫ পরীক্ষা।—যদি একটা জলবিশিষ্ট কুপীর [Flask] মধ্যে কতকগুলি দস্তখণ্ড রাখি, এবং তংপরে উহার ঘধ্যে তাস্তে ২ যদি একটুকু গন্ধকদ্রাবক [Oil of Witriol] ঢালিয়া দি, তমিতিবিলম্বেই বুদবুদাকারে বায়ু-নিৰ্গমন-হেতু জলমধ্যে একপ্রকার ত্বরিত আলোড়ন ললিত হইবে। এখন বক্র-কাচ-নলবিশিষ্ট একটা ছিপি দিয়া কুপীর মুখ উত্তমরূপে বন্ধ করিলাম। জলজান, দস্তাদ্বারা অম্নাক্ত জল হইতে উৎপন্ন ইয়াই এই
