পাতা:রসায়ন সূত্র.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩১ ] জল ২ ১১ ৷ ২৮।-চাখড়াবিশিষ্ট ভারীজল ফুটাইলে লঘু হয় । আর এক প্রকারের ভারী জল অাছে, এখন তাছার বিষয় বলা যাইতেছে। ৭ম পরীক্ষায় শিক্ষা করা গিয়াছে, যে ফুসফুসী হইতে অঙ্গিারিকামবায়ু নির্গত ছয়, এবং ফুৎকার দিয়া ফুসফুস হইতে এই বায়ুটা পরিষ্কার চুর্ণজলের মধ্যে নির্গত করিলে চাখড়ী বা অঙ্গরায়িত চুর্ণপ্রদ নামক [Calcium carbonate] এরূপ একটা পদার্থের উৎপত্তি হয়, যাহা জলে অদ্রবণীয়, এবং চুর্ণজল অবিলম্বে দুগ্ধবৎ इ३श शान्न । ২৮ পরীক্ষা।—যদি ৭ম পরীক্ষা পুনৰ্ব্বার করিয়া চুর্ণজলের মধ্যে ফুসফুসী হইতে তদপেক্ষ এবারে অধিকপরিমাণে বায়ু নির্গত করা ছর, তাছা হইলে চুর্ণজলের দুগ্ধবৎ বর্ণ ক্রমশঃ অন্তর্ষিত হইতে থাকে, এবং জল অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার হইয়া আসে। যদি এইরূপে চুর্ণজল ৫। ৬ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার ছইয়া না যায়, ছাকিবার কাগচ দিয়া ছাকিয়া লইলে, সম্পূর্ণ পরিষ্কার জল প্রাপ্ত হইবে। কিন্তু সাবানের পরীক্ষাদ্বারা প্রতীয়মান হইবে, যে এই পরিস্কার জল সম্পূর্ণ “ভারা" (Hard]। এরূপ পরিবর্তনের কারণ কি ? চাখড়ী, বিশুদ্ধ জলে দ্রবীভূত হয় না বটে, কিন্তু ফুসফুসী হইতে যে অঙ্গারিকায় নির্গত হয় তাছার দ্বারা দ্রবীভূত হইতে পারে। এই নিমিত্তে পূৰ্ব্বোক্ত প্রণালীতে যে পরিষ্কার জল প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাছা * ভারী," হয়। কারণ এই জলে “ চাখড়ী অঙ্গিারিকমের মধ্যে দ্রবীভূত হইয়। " বর্তমান থাকে। কিন্তু আঙ্গারিকায় একটা বায়বীয় পদাৰ্থ ; অতএব পূৰ্ব্বোক্ত ভারী জল ফুটাইলে, সমুদয় আঙ্গারিকায় বায়ুই নির্গত হইয়া যায়, এবং আঙ্গারিকমের মধ্যে যে চাখ দী দ্রবীভূত ছিল, তাছা শ্বেত গুড়ার আকারে অদ্রবঅবস্থায় জলমধ্যে নিক্ষিপ্ত হয়। অতএব এই ভারী জল যদি কুপীতে ফুটাইয়। তৎপরে ছাকিয়া লওয়া হয়, সাবানের পরীক্ষাদ্বারা প্রতীয়মান হইবে যে উছা আর এখন ভারী নাই, অপিচ “ ফুটানর দ্বারায় লঘু " [Soft] ছইয়াছে। অাঙ্গারিকামের মধ্যে চাখড়ী দ্রবীভূত থাকায় যে জল ভারী হয়, তাহা অার এক প্রণালীতেও অর্থাৎ চুর্ণজল-সংযোগেও লঘু করা যায় ; কারণ চুর্ণজলের সহিত আঙ্গারিকমের রাসায়নিক সংযোগ ইয়া সখী উৎপন্ন হয়, এবং উৎপন্ন সখী ও পূৰ্ব্বে যে চাখড়ী দ্রবীভূত ছিল, আঙ্গারিকাম না থাকায়,*উভয়ই শ্বেত গুড়ার আকারে অদ্রব অবস্থায় নিপতিত হয়। এই শেষোক্ত প্রণালীতে, চাখড়ীবিশিষ্ট তার জল সহজেই প্রচুর পরিমাণে লঘু করা যায়।