পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s- *s ) ८#डेडी शांझे ! 》b-堂 একথানি অতি চমৎকার শাড়ী অাছে। অমন শাড়ী আমরা কখন দেখি নাই। ঠিক যেন সূর্য্যের মত জ্বলজ্বল করিতেছে ; দেখিলে চক্ষু ঠিকরিয়া পড়ে। আমাদের তার অদ্ধেক সুন্দর শাড়ীও নাই । মা তুমিত রাজরাণী, একথান তেমনি শাড়ী কেন না কেন ?” পাৰ্বতীর শাটীর কথা শ্রবণ করিয়া রাজমহিধীর সেইৰূপ এক খানি শাটী পরিবার ইচ্ছা জন্মিল, এবং তিনি অনতিবিলম্বেই রাজাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “ মহারাজ, আপনার রাণীর অপেক্ষ আপনার ভূত্যের স্ত্রী অধিক মূল্যের বস্ত্র পরিধান করিয়া থাকে । শুনিতে পাই পাৰ্বতী বাইর যেমন এক খানি শাড়ী আছে তেমন শাড়ী আমি কখন চক্ষে দেখি নাই ; অতএব আমি এই নিবেদন করি যে, আমার জন্য সেইৰূপ এক খানি শাড়ী আনাইয়া দেন । আমি যতদিন সেইৰূপ একখান শাড়ী না পাইব ততদিন সুস্থির হইতে পারিতেছি না।” মুরপতি মহিষীর নিকট এই কথা শুনিবামাত্র সেউতীকে আহ্বান করাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ মন্ত্রিবর, তোমার পত্নী সেন্ধপ শাটী কোথায় পাইলেন ? সেইৰূপ শাটী একখান আনাইবার सङ्गमा मङ्वीिज्ञ निष्ठाख्न छाडिबाब इङ्ग्रेझाएझ !' সেউতী বিনীতভাবে প্রত্যুত্তর করিলেন, “মহারাজ, সে শাটা অতি দূরদেশহইতে আসিয়াছে, অথবা বলিতে কি উহ্য রাক্ষসদিগের দেশহইতে -মানীত । এখানে সেৰাপ শাটী পাওয়া নিতান্ত দুষ্কর। তবে যদি মহারাজের অনুমতি জয় রাক্ষসদিগের দেশহইতে অনুসন্ধান করিয়া আনিতে পারি।” রাজা শুনিয়া সাতিশয় আহ্লাদিত হইলেন, এবং তাছাকে সেই শাটর অনুসন্ধানার্থ অনুমতি করিলেন । সেউতী স্বীয় আবাস-মন্দিরে প্রত্যাগমনপূর্বক পাৰ্বতীর নিকটত্বইতে বিদায় লইলেন, এবং বারবার তাহাকে সাবধান থাকিতে কহিয়া বাটীহইতে বহির্গত হইলেন । বাটীহইতে বহির্গত হইবার পর তিনি কয়েক দিবস বনে বনে গমন করিতে লাগিলেন । প্রতিদিন প্রায় ১০ ক্রোশ করিয়া যাইতেন, এব° মধ্যে মধ্যে পথপাশ্ববৰ্ত্তী এক এক ক্ষুদ্র গ্রামে বিশ্রাম করিতেন । অবশেষে বহু দিনের পর এক রমণীয় রাজধানীতে উপস্থিত হইলেন । এই রাজপুরী এক মনোহর নদীতীরে সংস্থাপিত ছিল । তিনি তথায় উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, ঐ নগরীয় প্রায় প্রত্যেক প্রাচীরে অতিবিচিত্র ও রহৎ অক্ষরে কিছু লিখিত রহিয়াছে । জিজ্ঞাসা করাতে তত্ৰত্য লোকসকল কহিল যে আমাদিগের এখানে রাজীর একটা দুৰ্দ্দান্ত অশ্ব আছে, যে ব্যক্তি সেই অশ্বকে বশীভূত করিতে পারিবে, নরপতি তাহাকেই কন্যা সম্প্রদান করিবেন। সেউতী জিজ্ঞাসা করিলেন, “অদ্যাবধি কি কেহই তাহাকে বশীভূত করিতে পারে নাই ?” তাহারা কহিল, “না, অনেকেই চেষ্টা করিয়াছেন ; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কেহই ক্লতকার্য্য হইতে পারেন নাই। ঐ অশ্বট রাজকুমারীর সহিত একদিনে জন্ম গ্রহণ করিয়াছে; কিন্তু ঘোটকট এৰূপ দুষ্টস্বভাব যে, উহার পৃষ্ঠে আরোহণ করা দূরে থাকুক, কেহ উহার নিকট যাইতেও সমর্থ হয় না । রাজকুমারী উহার এইৰূপ উগ্রস্বভাবের কথা শ্রবণ করিয়া অবধি এই প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন যে, যে ব্যক্তি উহাকে বশীভূত করিতে না পারিবেন, তিনি তাহাকে বিবাহ করিবেন না। র্যাহার ইচ্ছা হয় চেষ্টা করিতে পারেন ।” সেউতী কছিল, “কল্য আমাকে সেই ঘোটকট দেখাইও । আমার বোধ হয় আমি তাহাকে বশীভূত করিতে পারিব” তাহারা কহিল, “আপনি অনায়াসে চেষ্টা করিতে পারেন । কিন্তু সে অতিভয়ানক, আপনারও বয়ঃক্রম অত্যপ