१९४७ ] कछैक 1 ।। و ط আমি বাজলা এবণ উৎকল ভাষার একজাতিত্ব এব- নিকট-সম্বন্ধ বিষয়ে এতাবন্মাত্র অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলাম ; এবং উৎকলে সৰ্ব-গেীরবাধান সংস্কৃত ভাষানুযায়িনী নিয়মাবলীর যে প্রাচুর্য্য আছে তাহাও সঙ্ক্ষেপে ব্যক্ত করিলাম। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই যে বাজলাদেশ সাদ্ধ শু শত বর্ষ যবনাক্রান্ত হইয়াছে, কিন্তু তদেশীয় ভাষায় বিজাতীয় অর্থাৎ পারস্য আরব্য শব্দের যে পরিমাণে স°ত্রব দেখা যায়, তদপেক্ষ উৎকল ভাষায় তাহা সমধিক পরিমাণে সন্নিবেশিত এমত বোধ হয়, অথচ উৎকল দেশে মুসলমানদিগের সমাগম সাদ্ধ ৩ শত বৎসরও সম্পূর্ণ হয় নাই। সত্যবটে মুসলমানেরা যে সকল দেশ আধিক্লত করে, সে সকল দেশে আপনাদিগের ধৰ্ম্ম, ভাষা, রীতি, নীতি প্রভৃতি প্রচলিত করণে অতিমাত্র সোৎসুক, তথাপি পরাভূত দেশীয়দিগের তত্ত্বাবৎ অবাধে অঙ্গীকার করা উচিত নহে । মুসলমানদিগের অধিকারের পূর্বে উৎকল-প্রদেশে ভারতবর্ষের প্রাচীন রাজ্যপ্রণালী স্থাপিত ছিল । এখানে দেশের বিভাগ সকল “ থগু” এব• • বিচ্ছিত্তি ” (অপভ্রংশ বিসী) নামে খ্যাত হইত। মুসলমানের তৎপরিবর্তে পরগনা’ ও ‘ চাকলা শব্দ প্রচলিত করে, কিন্তু অদ্যাপি * খণ্ড’ এব• • বিসা • শব্দ অনেক স্থলে অন্তর্হিত হয় নাই ; যথা, কেরবাল খণ্ড, তপন খণ্ড, বালু বিসী, ভেরা বিলী ইত্যাদি । অপর এদেশে ভারতবর্ষের সনাতন নিয়মানুসারে দেশাধিকারী এবং গ্রামাধিকারী পদের প্রচলন ছিল ; অদ্যাপি “দেশপণ্ডা” এব• • গ্রামপণ্ড ” শব্দের তিরোধান হয় নাই। মুসলমানেরা তৎপরিবর্তে “ মোকদম ” এব• • সরবরাংকার গ প্রভৃতি পদের স্থষ্টি করে। অদ্যাপি “স্থানপতি” এৰ- “ পদপতি” এতদুভয় প্রকার প্রজার আখ্যা “ থানী” এৰ-“পাখী" শব্দদ্বয়ে জগন্ধকৃ আছে। অনেক স্থলে এই ক্ষণেও চেকীদারকে ‘ দণ্ডবাসী • কছে। এই ৰূপ প্রীতিকর উপাদানসকল সত্ত্বেও উৎকল-ভাষায় মুসলমানী শব্দের প্রচুর সাহায্য গ্রহণ করা অতীব পরিতাপের বিষয়, আমরা বিদেশীয় শব্দ ব্যবহারের বিপক্ষ মহি, যে স্থলে কোন বিদেশীয় শব্দ ব্যতীত মানসিক ভাব বিশেষ ব্যক্ত করণের উপায় নাই, সেই স্থলেই তাহা ব্যবহার করা বিধেয় ; নতুবা দুই ছত্র উৎকল বা বাঙ্গলা লিখনে শতকরা ৫০-৬০ পারস্য শব্দের ব্যবহার নিতান্ত নিন্দনীয়। এই ৰূপ কুরীতি ৩০ বৎসর পূর্বে বাজলাদেশেও অবলম্বিত হইত। কিন্তু এই ক্ষণে তাহা অপসারিত হইয়াছে । আর কেহ এক্ষণে মুসলমানী বাজলার প্রিয় নহেন। তবে বিচারালয়সমূহে অদ্যাপি কথঞ্চিৎ দৃষ্ট হইয় থাকে ; কিন্তু স্বদেশীয় ভাষায় সুশিক্ষিত লোকসকল যত রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইতেছেন, ততই তাহা দিনদিন আশ্রদ্ধেয় হইয়া আসিতেছে। উৎকলদেশেও তদ্রুপ সঙ্ঘটনের বাধা কি ? হালিডে সাহেবের সময়হইতে অদ্যাবধি গবর্ণমেণ্ট বারবার অনুজ্ঞা করিতেছেন, সুশিক্ষিত লোক ব্যতীত অন্য কেহ তাই এবং আমলা কার্য্যে নিযুক্ত হইতে পারিবেক না ; কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে অদ্যাপি এই ৰুচির রাজাদেশ কলবান হইতেছে না । প্রধান পদস্থ আমলাগণ প্রকতপক্ষে রাজদ্বারে প্রবল ; তাহারা আপনাদিগের নিৰুপায় জ্ঞাতি কুটুম্বগণকে অধীন আমলা পদে সৰ্বথা প্রবিষ্ট করাইয়া থাকে, তৎপ্রযুক্ত এই কুরীতির উচ্ছেদ করা সুকঠিন হইয়াছে। আমার বিবেछनtश्च ॰ं जङ! नभ८ञ्च लभ८ञ्च ऎशंब्र निझांकझ१নিমিত্ত বিঙ্কিত চেষ্টা পাইবেন । আমলাদিগের মূখতম জ্ঞাতিগোষ্ট্রজ কোন ব্যক্তি রাজকাৰ্য্যে যখন প্রৰিষ্ট হইবেক, সভা তৎক্ষণাৎ তাহ রাজপুৰুষদিগের সুগোচর করিবেন, এবং যাহাতে
