পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (তৃতীয় পর্ব্ব).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

է, Ղ অজয়গড় । [রহস্য-সন্দর্ভ । রাজবংশীয় এক পরাক্রান্ত ভূপতি বুন্দেলখণ্ডের । পূর্বভাগ সম্পূর্ণৰূপে অধিরুত করিয়াছিলেন। অপর তাহার পশ্চিম সীমাবর্তি নরপতিগণ অসহ্য পরাধীনতা পাশে আবদ্ধ থাকিয়াও স্বাধীনতাপ্ররত্তির অনুকরণে সমৃৎসুক ছিলেন না । মহারাজা চম্পতরায় পরলোক গত হইলে তাহার পুএ মহারাজা ছত্রশাল এক নূতন রাজ্য স্বনামে সংস্থাপন করেন। উহা উজ্জয়িনীহইতে প্রায় তিন শত কুড়ী জ্যোতিষী ক্রোশ পূর্বে ছিল । সুপ্রসিদ্ধ কলঞ্জর । রাজপাট তাহারই অধীনে ছিল । তৎকালে তাহার এক কোটি মুদ্র রাজস্ব হইত। ফরস্কাবাদের সদার মহম্মদ খাঁ বঙ্গস্ত র্তাহার রাজ্য ছত্রপুর আক্রমণ করিলে তেঁহু দক্ষিণ দেশের সুবিখ্যাত মহারাষ্ট্রীয় যোদ্ধা বাজিরাওর সাহায্য । গ্রহণ করত আক্রমণকারী যবনকে দূরীভূত করেন। তাহাতেই তিনি বাজিরাওকে পালকপুপ্র গ্রহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু হুদীশ এব° জগতরাজ নাম র্তাহার দুই পুএ ছিলেন ; অতএব ছত্রশালের পরলোক প্রাপ্তিতে র্তাহারা তিন জনে তদ্রাজ্য । অপশ করিয়া লইয়াছিলেন । মহারাজ জগতরাজের অণশে বনগড়, বান্দা, অজয়গড়, জরতীপুর, এবং চিরকারী প্রভৃতি রাজ্য লব্ধ হইয়াছিল। তখন মহারাষ্ট্রীয়দিগের নবোন্নতির সময় । মধ্যভারতবর্ষে মহারাষ্ট্রীয়-সমরানল চারি দিকে জ্বলিয়া উঠিবার উপক্রম হইতেছে; যবন-প্রভুত্ব ক্ষণে ক্ষণে কম্পিত হইতেছে ; ইতিমধ্যে ছত্রশালের প্রভূত সম্পত্তির অধিকারী হইয়া পেশবারব°শ হুতামির ন্যায় তেজস্বী হইয়া উঠিল । সুতরাণ হুদীরায় ও জগতরাজের বংশধরগণের পরম্পর পরস্পরের গৃহবিবাদ-সূত্রে সর্বাগ্রেই উক্ত উভয় রাজ্য ভগ্নদশাগ্রস্ত হইয়া পড়িয়া ছিল । পেশবার যবন-সম্পর্কীয় অপর ব্যক্তিরাও পেীএ আলী বাহাদুর, মহারাজা হিন্মত বাহাদুরের প্ররোচনায় মাথাজী সিন্ধিয়ার বিৰুদ্ধে সমস্ত বৃন্দেলখণ্ড অধিকার করিতে সমুৎসুক হইয়া প্রায় চৌদ্দ বৎসর ক্রমাগত সঙ্গাম করিয়াছিলেন। তিনিই মহারাজা জগত-রাজের পে।এ মহারাজ ভক্তবলীকে পরাভূত করিয়া অজয়গড় আধিক্লত করেন। অধিকন্তু তিনি অজয়গড় অধিকার করিয়াই ক্ষান্ত ছিলেন না । মহারাজা ভক্তবল্লীকে একেবারে. নিস্বঃ ও দারিদ্র্যদশাগ্রস্ত করিয়া রক্তি স্বৰূপ প্রত্যহ দুইট টাকা প্রদান করিতেন । তাহাই উক্ত সন্ত্রান্ত-নৃপতিবর্ণশীয়-রাজকুমারের উপজীবনের উপায় হইয়াছিল। কিন্তু ব্রিটিস গবর্ণমেণ্ট এতদ্দেশে যেৰূপ আধিপত্য-বিস্তারে বিশেষ আগ্রহাম্বিত ছিলেন, তদনুযায়ী অনেক স্বাধিকারচু্যত নৃপতিবর্গকেও পুনঃ সিংহাসনে স্থাপন-বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিতেন ; এবণ সময়বিশেষে সাহায্যপ্রদানেও ত্রটি করিতেন না। ১৮০৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ই°রাজের বুন্দেলখণ্ডের বৈষয়িক সংস্রবে হস্ত ক্ষেপ করণাবধি ভক্তবলী তিন সহস্ৰ গোহরশাহী মুদ্রা মাসিকরত্তি প্রাপ্ত হইতেন । অনন্তর তিনি ব্রিটিস গবর্ণমেণ্টের নিকট ১৮০৭ খ্ৰীষ্টাব্দে এক সনন্দ প্রাপ্ত হন, তদ্বারা তাহার পূর্ব অধিকারের কিয়দংশ হস্তগত হইয়াছিল ; কিন্তু তদবধি অবধারিত রাত্তি আর প্রাপ্ত হইতেন না । তৎকালে লক্ষ্মণদেব নাম এক অবাধ্য জমীদার অজয়গড়ের সিংহাসন অধিকার করিয়া আধিপত্য করিতেছিলেন। তিনি কয়েকটা অঙ্গীকার ভঙ্গ করাতেই ব্রিটিস গবর্ণমেণ্ট তাহার প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হুইয়া মহারাজা ভক্তবলীকে পৈতৃক রাজ্যের সিংহাসনে পুনৰ্বার প্রতিষ্ঠিত করেন। কিন্তু এতদ্ব্যাপারসম্বন্ধে একটা শোকাবহ ঘটনার বিবরণ ইতিহাসগ্রন্থে বর্ণিত আছে। প্রসিদ্ধ আছে