বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজকন্যার গুপ্তকথা - দেড়ে বাবাজী.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ab/ উদাসিনী রাজকন্যার গুপ্তকথা । নদীর মধ্যস্থলে উপস্থিত। মাঝি মাল্লা সকল সামাল সামাল শব্দে চীৎকার কচ্ছে-কেও কারো কথা শুনতে পাচ্ছে না-নৌকখানি টলমল কচ্ছেআরোহীগণ ভয়ে-ভাবনায়-ত্ৰাসে ত্রাহি ত্ৰাহি কচ্ছে। কি উপায়ে রক্ষা হবে-পরমেশ্বর কি বিপদ হতে নিস্তার করবেন – এইরূপ ভাবনায় মনের ভিতর বিষম তোলপাড় হচ্ছে। কোন কোন নৌকার চাল ঝড়ে উড়ে নদীর জলে পড়ছে-গতিক খারাপ দেখে কোন কোন মাঝিরা নৌকার কাছি কেটে দিচ্ছে--এমন সময় একটী যুবাপুরুষ মাৰিদের ডেকে বল্লেন, “খুব সাবধান এ বিপদ হতে উদ্ধার পেলে তোমাদের বিশেষ পুরস্কার হবে। মাঝিরা বলতে লাগল, “বাবু মশায়! আপনার সাবধান হয়ে বসুনকোন ভাবনা নাই, আমাদের প্রাণ থাকতে আপনাদের বিপদ হবে না। তবে যদি পরমেশ্বর বিমুখ হন তবে বলতে পারিনে।” “খুব সাবধান বৈশাখের মাসের যেন এক সঙ্গে ব্ৰাহ্মণ ও স্ত্রী হত্যা না হয়।” এই কথা ক একটি মাঝিদের কাণে গেল কি না কে বলতে পারে ? কারণ জল ঝড়ের শব্দে কিছুই শুনা যাচ্ছে না। নৌকার চালের উপর শিলাবৃষ্টির চড় চড় শব্দ-ঝড়ের গোঁ গো শব্দ বাড়ছে, জলের ধারা তীরের ন্যায় গায়ে ফুটছে-দণ্ডভাঙ্গা নদীর আজ ভয়ানক চেহাব হয়ে উঠেছে। জল রাশি কেঁপে কেঁপে-ফুলে ফুলে উচু হয়ে উঠেছে। একটা ঢেউ-তার পর আর একটা-তার পর আর একটা এইরূপ করে অসংখ্য ঢেউ সকল গড়াতে গড়াতে এসে নৌকার গায়ে চড়াৎ চড়াৎ করে লাগছে, নৌকা খানি টলমল কচ্ছে। আর কক্ষতণ এরূপ হবে ? বিধাতা তুমি স্থির নদীকে খেপিয়ে তুললে কেন ? যে নদী ইতি পূর্বে আনন্দবৰ্দ্ধন কছিল-কুল কুল রবে ধীরে ধীরে ভাল মানষ্যের ন্যায় চলে যাচ্ছিল—সন্ধ্যাগগণের অপূৰ্ব্ব শোভা বুকে করে নৃত্য কছিল, সেই নদীর এখন এরূপ ভাব হলো কেন ? সংসারের কি এই নিয়ম-প্ৰকৃতির কি এই খেলা-পরমেDBBDB DDS gg BDDB S D DBDKYSKS S SBBBBBDYS D SDBDBDDJS उांश कि এই পরিণাম ? যে জল ষে বাতাস মানষের প্রাণ রক্ষা কচ্ছেআজ আবার সেই জলবাত্তাস প্ৰাণ নষ্ট করতে উদ্যত ! সেই মৃদুবাতাসের এত শক্তি-সেই তরল জলরাশির এত বিক্ৰম । গতিক খারাপ দেখে ঝড় জলের প্রবল অবস্থা দেখে নৌকাস্থ সকলে