পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবন । ܀ ܘ܀ মেদিনীপুর হইতে যখন কলিকাতায় আসিতাম। তখন রাত্রিকালে বোড়ালে যাইতাম এবং ভোর না হইতেই কলিকাতায় ফিরিয়া আসিতাম। একবার বেড়ালে গিয়াছিলাম শেষরাত্রে দেখি বাটীর ভিতর হইতে কে একটী প্ৰদীপ হাতে করিয়া আসিতেছে। আমি বহির্বাটীতে শয়ন করিয়াছিলাম। প্ৰদীপহস্ত ব্যক্তি যখন আমার মসারীর সম্মুখে আসিয়া বসিলেন তখন দেখিলাম যে মাতা ঠাকুরাণী ; তিনি বলিলেন যে “রাজনারায়ণ তোর মনে এই ছিল” ; এই বলিয়া অনেক অনুযোগ করতে লাগিলেন। এই সময়ে আমার মনের অবস্থা কিরূপ হইয়াছিল তাহ পাঠকবর্গ অনায়াসে বুঝিতে পারেন। এই বিধবাবিবাহ জন্য মাতাঠাকুরাণী ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়াছিলেন। বিধবাবিবাহ সময়ে তিনি মথুরায় ছিলেন। তিনি সেই সময় বাটীতে থাকিলে আমার দুই ভাইয়ের বিধবাবিবাহ দিতে পারিতাম না। ঐ সময়ে মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুরও পশ্চিমে ছিলেন। আমি তঁহাকে বিধবাবিবাহের সংবাদ দেওয়াতে তিনি আমাকে লিখিয়াছিলেন যে “এই বিধবাবিবাহ হইতে যে গরল উত্থিত হইবে তাহা তোমার কোমল মনকে অস্থির করিয়া ফেলিবে; কিন্তু সাধু যাহার ইচ্ছা ঈশ্বর তাহার সহায়” । “সাধু যাহার ইচ্ছা ঈশ্বর তাহার সহায়” এই বাক্য এক্ষণে ব্ৰাহ্মদিগের মধ্যে জনসাধারণবাক্য হইয়া পড়িয়াছে ; কিন্তু প্ৰথমে উল্লিখিত উপলক্ষ্যে चैब९७थक्षांन आफ्रार्थी बांब्रा दावश्ऊ श् । ১৮৫৭ সালে সিপাহীবিদ্রোহ হয়। সিপাহীবিদ্রোহের ভারতব্যাপী তরঙ্গ মেদিনীপুর পর্য্যন্ত পৌছে। ১৮৫৭ সালের ১০ই মে বিদ্রোহী সিপাহীরা মিরাটনগর ত্যাগ করিয়া দিল্পী গমন করে। সিপাহীদিগের গুপ্ত ষড়যন্ত্র এত বিস্তৃত ছিল যে ১০ই মেয় অব্যবহিত পরেই একজন তেওয়ারী ব্ৰাহ্মণ মেদিনীপুরস্থ রাজপুত জাতীয় সিপাহীর পল্টনকে