পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবন । ֆo Գ বাবুর সঙ্গে পরামর্শ করিতেন, আমি তাহাতে যোগ দিতাম। উল্লিখিত উপায় সকলে চাতুৰ্য্য প্ৰকাশ না পায় এ বিষয়ে কেশব বাবু বড় সাবধান হইতেন, যেহেতু ধৰ্ম্মের সহিত চাতুৰ্য সঙ্গত হয় না। বৈদ্যজাতি ফিচেল। বলিয়া যে অপবাদ আছে তাহা অমূলক হউক বা সমূলক হউক তাহা সত্য বলিয়া তাহার বিশ্বাস ছিল এবং তঁাহার ঐ জাতীয় দোষ পাবিত্র ধৰ্ম্মপ্রচার কাৰ্য্য কখন কলুষিত করে তাহার সর্বদা এই আশঙ্কা হইত। আমাকে এই ভ্ৰমণ সময়ে একবার তিনি জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন যে “বৈদ্যজাতি ফিচল বলিয়া অপবাদ আছে না ?” আমি বলিলাম। “হু”। রাজমহলে যখন যাওয়া হয় তখন দেবেন্দ্র বাবুর সঙ্গে পরামর্শ হয় যে সেই বৎসরের পৌষ মাসে ব্ৰাহ্মপ্ৰতিজ্ঞার স্বাক্ষরের সাম্বাৎসরিক দিবসে আমি আদি ব্ৰাহ্মসমাজের দ্বিতীয়তলা গৃহে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের পুরাবৃত্ত বিষয়ে একদিন বক্তৃতা দিব। এই অবধারণানুসারে আমি মেদিনীপুর হইতে আসিয়া ৭ই পৌষ দিবসে ঐ বক্তৃতা দিই। সেই দিবস কেশব বাবুর ব্ৰহ্মবিদ্যালয়ের কাৰ্য্যের পর আমার বক্তৃত হয়। ব্রহ্মবিদ্যালয়ে কেশব বাবু সেদিন যে উপদেশ দিয়াছিলেন তাহা অগ্নিময়। তিনি বলিয়াছিলেন যে পরিবারদিগকে পরম শত্রু জ্ঞান করা উচিত, যেহেতু তাহারা অনেকে খৰ্ম্মপথের প্রতিরোধক হয়। সভা ভঙ্গ হইলে পর কেশব বাবুর অনুপস্থিতিতে দেবেন্দ্র বাবু আমাদিগকে বলিলেন “পরিবার শত্রু’। “পরিবার শক্রি”। “পরিবার শত্ৰু” ইহা ক্ৰমিক বলা কিরূপ ?” আমি সে দিন যে বক্তৃতা করি তাহাতে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের দীর্ঘ পুরাবৃত্ত বলিয়া পরিশেষে কেশব বাবুর ভূয়সী প্ৰশংসা করি। তিনি সে প্ৰশংসার উপযুক্ত। দেবেন্দ্র বাবু উঠিয়া বলিলেন যে রাজনারায়ণ বাবু নবযৌবন কাল হইতে এ পৰ্যন্ত ব্ৰহ্মাগ্নি হৃদয়ে পোষণ করিয়া আসিতেছেন, ইহা অল্প প্ৰশংসার বিষয়