পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবন । SSS কানপুরে যান। তখন আমার সস্থিত তাহার সাক্ষাৎ হয়। একদিন কথোপকথনের সময় পিতৃভূমি অর্থাৎ কান্যকুব্জ (কনোজ ) দর্শনের প্রস্তাব উঠে। কনোজ হইতে পঞ্চ ব্ৰাহ্মণ ও পঞ্চ কায়স্থ আইসে এই জন্য উহাকে আমরা পিতৃভূমি সংজ্ঞা দিয়াছিলাম। আমরা কনোজ যাইতে ংকল্পারূঢ় হইলাম। ভূদেব আমাকে বলিলেন “ষাইবে তো গাড়, গামছা হাতে কর” । আমি বলিলাম “এই উনবিংশ শতাব্দীতে ?” আর এক কথা বলিতে ভুলিয়া গিয়াছিলাম যে “আমরা গাড়, গামছা বহা জাত আগে তা প্ৰমাণ কর” । কায়স্থ ক্ষত্ৰিয়বৰ্ণ আমার বিশ্বাস । কনৌজ, ফরাক্কাবাদ জেলায় স্থিত, কানপুর জেলায় স্থিত নহে। কিন্তু কানপুর জেলার স্কুল সমূহের ডেপুটী ইনস্পেক্টর পণ্ডিত চুড়ামণ অত্যন্ত শিষ্টতাপূর্বক ততদূর আমাদিগের সঙ্গে যাইতে স্বীকৃত হইয়াছিলেন। তিনি আমাদিগের পিতৃভূমি দর্শনের উৎসাহ দেখিয়া আমাদিগকে উপহাস করিয়া বলিয়াছিলেন “আপনাদিগের যেরূপ উৎসাহ দেখিতেছি, কনোজে গিয়া পিতৃভূমির জন্য মোকদ্দমা না করেন।” কানোজের অৰ্দ্ধারাস্তায় শিওরাজপুর গ্রামে সেখানকার তহশীলদার অর্থাৎ ডেপুটী কলেক্টার লাল বিহারীলালের বাসায় আমরা অতিথি হইলাম। লালাজী অতি যত্নের সহিত অতিথি সৎকার করিলেন। লাল বিহারীলাল ঘোর পৌত্তলিক হিন্দু। তিনি কথায় কথায় বলিলেন “শুনিতেছি। কলিকাতায় অনেকে ধৰ্ম্মভ্ৰষ্ট হইয়া পড়িতেছে, বিশেষতঃ ব্ৰাহ্মগণ ।” ইহাতে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম লাইয় তাহার সহিত আমার ঘোরতর তর্ক উপস্থিত হইল। আমি বলিলাম “বুৎপরস্ত হোনা মোনাসেব নেহি ।” তিনি উত্তর করিলেন “বুৎপর্যন্ত কোন হায় ? হামলোক ক্যায়ী মাটিকাবুৎকে পূজা করতে হে না উস্কা ভিতর দেওতাকো পূজতে ?” লালাজী ভূদেবকে তর্ক মীমাংসার মধ্যস্থ নিযুক্ত করিলেন। ভূদেব অত্যন্ত গভীরমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া