পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবন। ०२० মেদিনীপুর যাইয়া ৪৫ বৎসর পরে সিপাহীদিগের বিদ্রোহের পূর্বে আমার কোন বিশিষ্ট রাজকাৰ্য্য পাইবার সুযোগ হইয়াছিল, কিন্তু যদি মেদিনীপুর হইতে শীঘ্ৰ বিচ্ছিন্ন হইয়া আপনাদিগের বর্তমান অমূল্য অভিনন্দন হইতে বঞ্চিত হইতাম তাহা হইলে তাহা আমার পক্ষে অপরিাসীম ক্ষতির বিষয় হইত। অতি সমাদরে আপনাদিগের প্রেরিত অভিনন্দন পত্ৰখানি গ্ৰহণ করিলাম। কিন্তু মনের ভাব প্ৰকাশ না করিয়া ক্ষান্ত থাকিতে পারিলাম না, তাহা ক্ষুৰূচিত্তে গ্ৰহণ করিলাম। আমি বেশ মনে বুঝিতেছি যে মেদিনীপুরের উপকার করিয়াছি, কিন্তু আপনার যত মনে করিতেছেন তত করি নাই। আমার কাৰ্য্য সকল আপনাদিগের মেহের চক্ষে বদ্ধিতাকারে দৃষ্ট হইতেছে। বিশেষতঃ আপনাদিগের ন্যায় মহৎ অন্তঃকরণ সুহৃদগণের সহযোগিতা প্ৰাপ্ত না হইলে আমি কিছুই করিতে পারিতাম না, অতএব আপনারাই অধিক পরিমাণে আপনাদিগের প্রেরিত অভিনন্দনপত্রোক্ত প্ৰশংসাবাদের অধিকারী। আপনারা কখনই এমত মনে করিবেন না যে আপনাদিগের সৎ অনুষ্ঠানের ফল কেবল মেদিনীপুরেই বদ্ধ হইয়া আছে। আমরা যখন সঙ্কীর্ণ গৃহে অস্পষ্ট বৰ্ত্তিকার আলোকে জাতীয়-গৌরব-সম্পাদনী সভার কাৰ্য্য করিতাম তখন আমরা স্বপ্নেও মনে করি নাই যে, তাহা হইতে চৈত্র ( হিন্দু ) মেলারূপ বৃহৎ ব্যাপার। সস্তুত হইবে। মেলার ভাবাটী নূতন, তাহা আমাদিগের মনে উদিত হয় নাই, কিন্তু মেলা সংস্থাপক মহাশয় তৎসংস্থাপন কাৰ্য্যে আমাদিগের প্রকাশিত “Prospectus of a Society for the promotion of National Feeling among the Educated Natives of Bengal" (ever sist କିଳ