পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sţaţa ७ ऊां९:काँक्रिक शिंका । । NOSO করা যাইত। একদিন রামগোপাল বাবু আমাকে একটি পিস্তল ছড়িতে দিলেন। আমি বলিলাম “আমি পিস্তল কখন চুড়ি নাই, ভয় হইতেছে। পাছে হান্তটা উড়িয়া যায়।” বামগোপাল বাবু বলিলেন “গোলই বা৷” তখন ঐ কথা কঠোর বলিয়া বোধ হইয়াছিল, এক্ষণে তাহার অর্থ বুঝিতে পারিতেছি। আমরা ক্ৰমে, বঙ্গদেশের অক্সফোর্ড নবদ্বীপ পার হইয়া বিম্বগ্রাম হইতে শ্ৰীযুক্ত মদনমোহন তর্কালঙ্কার মহাশয়কে ষ্টীমারে উঠাইয়া লইয়া যাইবার জন্য তথায় ষ্টীমার নোঙর করিলাম। মদনমোহন তর্কালঙ্কার সে সময়ের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বঙ্গভাষায় একজন সুকবি বলিয়া খ্যাত ছিলেন। তঁহার প্রণীত প্ৰধান কবিতার নাম ৰাসবদত্ত । তিনি সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। বিটন স্কুল যখন প্ৰথম স্থাপিত হয়, তখন আপনার কন্যাকে উক্ত বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি করাইয়া এবং অন্যান্য প্রকারে স্ত্রীশিক্ষা বিস্তাররূপ মহৎ কাৰ্য্যে বিটন সাহেবকে যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন। বিটন সাহেব এজন্য তাহাকে বড় ভাল বাসিতেন এবং “My dear Madan” (প্রিয় মদন ) বলিয়া পত্র লিখিতেন। ইনি ও ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় “সৰ্ব্বশুভকরী” নামে পত্রিকা বাহির করেন। এই পত্রিকাতে স্ত্রীশিক্ষার আবশ্যকতা বিষয়ে একটী প্ৰস্তাব তর্কালঙ্কার মহাশয় লিখিয়াছিলেন। স্ত্রীশিক্ষা বিষয়ক ঐ রূপ উৎকৃষ্ট প্ৰস্তাব অস্থাপি বঙ্গভাষায় প্ৰকাশিত হয় নাই। তর্কালঙ্কার মহাশয় বিদ্বগ্রামের একজন ভট্টাচাৰ্য্য হইয়া সমাজ-সংস্কার কাৰ্য্যে যেরূপ উৎসাহ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তজ্জন্য তিনি সহস্ৰ সাধুবাদের উপযুক্ত। আমরা তর্কালঙ্কার মহাশয়কে সঙ্গে লইয়া মুরশিদাবাদাভিমুখে গমন করিলাম। আমরা মুরশিদাবাদের ঘাটে নোঙর করিয়াছি, এমন সময়ে নবাবের মাল বোঝাই করা একটি লম্বোদর ভড় কৃশাঙ্গী “লেটসের” উপর আসিয়া জোরে পতিত হয়। KO)