পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >>> ] সৌন্দৰ্য্য তুমি তোমার সৃষ্টির উপর বর্ষণ করিয়াছ, সে সৌন্দৰ্য্য আমারদিগের দৃষ্টি হইতে তোমাকে আবরণ করিয়া রাখিয়াছে। তুমি এতদ্রপ পরিশুদ্ধ ও মহৎ পদার্থ যে ইন্দ্ৰিয়ের গাম্য নহ, তুমি ‘সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্ৰহ্ম।” তুমি “আশব্দমম্পর্শমরূপমব্যয়ং তথাহরসং নিত্যমগান্ধবাচ্চ,” এ নিমিত্তে যাহারা পশুবৎ আচরণ করিয়া আপনারদিগের স্বভাবকে অতি জঘন্য করিয়াছে, তাহারা তোমাকে দেখিতে পায় না-হায় ! কেহ কেহ তোমার অস্তিত্বের প্রতিও সন্দেহ করে। আমরা কি দুৰ্ভাগ্য! আমরা সত্যকে ছায়া জ্ঞান করি, আর ছায়াকে সত্য জ্ঞান করি । যাহা কিছুই নাহে তােহা আমাদিগের সর্বস্ব, আর যাহা আমাদিগের সর্বস্ব তাঁহা আমারদিগের নিকটে কিছুই নহে। এই বৃথা ও শূন্য পদার্থ সকল, অধঃস্থায়ী এই অধম মনেরই উপযুক্ত। হে পরমাত্মন! আমি কি দেখিতেছি ? তোমাকেই যে সকল বস্তুতে প্ৰকাশমান দেখিতেছি । যে তোমাকে দেখে নাই সে কিছুই দেখে নাই ; যাহার তোমাতে আস্বাদ নাই, সে কোন বস্তুরই আম্বাদ পায় নাই ; তাহার জীবন স্বপ্ন স্বরূপ, তাহার অস্তিত্ব বৃথা । আহা ! সেই আত্মা কি অসুখী, তোমার জ্ঞান অভাবে যাহার সুহৃৎ, নাই, যাহার আশা | নাই, যাহার বিশ্রাম স্থান নাই ! কি সুখী সেই আত্মা, যে তামাকে অনুসন্ধান করে, যে তোমাকে পাইবার নিমিত্তে ব্যাকুল রহিয়াছে! কিন্তু সেই পূর্ণ সুখী, যাহার প্রতি তোমার মুখ-জ্যোতি তুমি সম্পূর্ণ-রূশে প্ৰকাশ করিয়াছ, তোমার হস্ত যাহার অশ্রু-সকল মোচন করিয়াছে, তোমার। প্ৰীতি-পূর্ণ কৃপাতে তোমাকে প্রাপ্ত হইয়া যে আপ্তকাম হাই