পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8 দিগকে দীন ভাবে মুহ্যমান হইতে হইবে—হয়তো বিনষ্ট হইতে হইবে। যদি সাংসারিক বিপদ হইতে আমরা ধৰ্ম্ম-দুগে আশ্রয় না লই তরে আমাদিগের আর উপায় নাই । ধৰ্ম্ম-দুর্গে আশ্রয় লওয়া সাংসারিক বিপদ অতিক্রম করার একমাত্র উপায়। সে দুৰ্গ আমরা যদি রক্ষা করি তবে সে আমাদিগকে নিশ্চয় রক্ষা করিবে, আর সে দুর্গের রক্ষা কাৰ্য্যে অবহেলা করিয়া যদি তাহা বিনষ্ট হইতে দিই তরে নিশ্চয়ই আমাদিগকে বিনষ্ট হইতে হইবে । ‘ধৰ্ম্ম এব হতে হস্তি ধৰ্ম্মে রক্ষতি রক্ষিতঃ ” আমার আত্মা যেমন আমার বন্ধুর আত্মাকে উপভোগ করে তেমনি তাহা পরমাত্মাকে উপভোগ করে। আত্ম-উপভোগই জগতে প্ৰকৃত ভোগা ; বাহবিষয়-ভোগ ভোগ নহে । যদি কোন ব্যক্তির প্রতি আমার প্রীতি না থাকে। আর তাহার সহিত আমি একত্ৰ ভোজন করি। তবে সে ভোজনে আমি কি সুখ প্রাপ্ত হইতে পারি ? বন্ধুর মুখশ্ৰী দ্বারা আমরা আকৃষ্ট হই না ; তাহার আত্মার যে সৌন্দৰ্য তঁহার মুখশ্ৰীতে প্ৰতিবিম্বিত হয় তাহা দ্বারা আমরা আকৃষ্ট হই। বন্ধু আকৃতিতে অতি কুৎসিত। ব্যক্তি হইতে পারেন। কিন্তু এক জন সুন্দর ব্যক্তি অপেক্ষা তঁহার প্রতি আমরা অধিক অনুরক্ত হইতে পারি, অতএব প্ৰভীত হইতেছে যে বাহ্য বিষয় উপভোগ অপেক্ষা আত্ম-উপভোগই প্রকৃত ভোগ। যখন আমরা সামান্য আত্ম-উপভোগে এত সুখ প্রাপ্ত হই তখন সেই পরমাত্মা উপভোগে আমরা কত মুখ না প্রাপ্ত হইব ? যখন আমরা সম্মুখস্থ বন্ধুর ন্যায় তঁহাকে সাক্ষাৎ প্ৰত্যক্ষ করি, যখন তঁহার নয়ন আমাদিগের নয়নের উপর নিপতিত হয়, যখন আমরা মনের দ্বার উদঘাটিত করিয়া