পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 প্ৰবেশ করে এবং পরে সেই সকল নানা প্ৰকার বস্তু এক প্রকার বস্তু রূপে পরিণত হয়। পরে তাহা হইতে দুগ্ধবৎ এক প্রকার বস্তু নিঃসৃত হইয়া তাঁহাই অবশেষে রক্ত য়াহ। সেই রক্ত সৰ্ব্বশরীরে সঞ্চারিত হইয়া শরীরের পুষ্টি সাধন করে। মস্তিস্কের সহিত বুদ্ধির কি চমৎকার সম্বন্ধ ! মস্তিস্ক রূপ যন্ত্রসহকারে বুদ্ধির কাৰ্য্য কি অভাবনীয় সুকৌশলে সম্পন্ন হইয়া থাকে। হে জগদীশ ! এক মাত্ৰ মনুষ্য শরীর তামার যে মহিমা ব্যক্ত করে, তাহার সমুদায় তত্ত্ব পরিজ্ঞাত হওয়া মানব-বুদ্ধির অসাধ্য।” ভূতত্ত্ববিদ্যা কৃতাঞ্জলিপুটে এই রূপ স্তব করিতেছে-“জয় জয় জগদীশ ! তোমার মহিমা আমি কি প্রকারে প্রকাশ করিব ? পৃথিবীর অন্তরস্থ প্ৰত্যেক স্তরে অবিনশ্বর অক্ষরে তোমার স্তোত্ৰ সুচক গীত লিখিত রহিয়াছে। এই পৃথিবী প্রথমে জ্বলন্ত তরল অগ্নিরাশি ছিল, তুমি তাহাকে জীবের অবস্থানোপযোগী করিয়া তুলিলে। প্রথমাবস্থায় যে সকল জীব জন্মিায়াছিল। তাহার বিনাশ হইলে তাহার উপর আর এক স্তর নিহিত হইল । সেই স্তরে পূর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্টতর জীব ও উৎকৃষ্ট উদ্ভিদের উৎপত্তি হইল। এরূপে পৃথিবী স্তরে স্তরে রচিত হইতে লাগিল এবং ক্রমশ উৎকৃষ্টতর প্রাণিপুঞ্জ ও তাহদের আহারের উপযোগী উৎকৃষ্টতর উদ্ভিদ সকলের উৎপাদনা করিয়া তোমার নূতন নূতন মহিমা কীৰ্ত্তন করিতে লাগিল। এই রূপে সেই অগ্নিময় পৃথিবী ক্রমে সমুদ্র পর্বত ও গ্ৰাম নগরে পরিণত হইয়া এক্ষণে মনুষ্যের বাসোপযোগী হইয়াছে; এক্ষণে মনুষ্য ইহাঁর জীব-শ্রেণীর শিরোভূষণ হইয়াছে। হে জগদ্বিধাতা !