পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७६ ] করিয়া কত ক্ষণ ক্ষান্ত থাকিতে পারেন ? তিনি সেই সৰ্ব্বত্বক পুৰুষের দৃষ্টিতে কত ক্ষণ কপট হইয়া থাকিতে পারেন? তিনি পুত্তলিকার উপাসনা দ্বারা আপনার প্ৰিয়তম ঈশ্বরকে কত ক্ষণ অবমাননা করিতে পারেন ? ইহা যথাৰ্থ বটে যে, লোক-সমাজচু্যত না হইলে তাহার অনেক উপকার করা যায়, কিন্তু স্বদেশ ও ঈশ্বর এই দুয়ের অনুরোধের মধ্যে কাহার অনুরোধ রাখা কৰ্ত্তব্য ? ঈশ্বরের অনুরোধ রাখা অবশ্য কৰ্ত্তব্য, কিন্তু ঈশ্বরের এমনি নিয়ম যে তঁহার অনুরোধ রক্ষা করিতে গেলেই দেশের উপকার আপনি আপনি হইয়া উঠে । দল করিয়া ধর্মের অনুষ্ঠান আরম্ভ করায় বিষয়ে পুরাবৃত্ত সাক্ষ্য প্রদান করে না। সকল স্থানেই এক এক জন করিয়া নুতন ধৰ্ম্ম ও তাহার অনুষ্ঠান অবলম্বনের দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিয়াছিল, তাহদের লইয়া পরে দল হইয়াছিল । যত বিলম্বে অনুষ্ঠান আরম্ভ হউক না কেন, প্ৰথমে প্ৰতিপক্ষতাচরণ পাইতেই হইবে । অতএব প্ৰতীত হইতেছে যে ধৰ্ম্ম পরিবর্তনের সুখসেব্য উপায় নাই। ধৰ্ম্ম পরিবর্তন সাধন করিবার জন্য ঈশ্বর সহজ সুগম রাজপথ বিধান করেন নাই। যেমন গার্ল্ডযাতনা ব্যতীত বালক সুন্দর দিবালোকময় পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হইতে পারে না, যেমন মৃত্যু যাতনা ব্যতীত মনুষ্য পারলৌকিক সুখের অবস্থায় উত্তীর্ণ হইতে পারে না, তেমনি কষ্ট ও বিঘ্ন বিপত্তি ব্যতীত ধৰ্ম্ম পরিবর্তন কাৰ্য্যের সাধন হইতে পারে না । সকল দেশেই এই রূপে ধৰ্ম্ম পরিবর্তন কাৰ্য সম্পাদিত হইয়াছে। ভারতবর্ষ কিছু নৈসর্গিক নিয়মের বহির্ভূত নহে। অন্যান্য দেশে ধৰ্ম্ম সংস্কার কাৰ্য্য যে রূপে সম্পাদিত হই