পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"לס ] ক্ষিণ করিতেছে, উত্তপ্ত ধাতুময় পিণ্ড হইতে পৃথিবী কি রূপে বৰ্ত্তমান আকারে পরিণত হইয়াছে, পৃথিবীর অন্তরস্থ স্তরে উপন্যাস রচকের কম্পনা শক্তির অতীত কি কি অদ্ভুত পদার্থ সকল নিহত রহিয়াছে, অবনীমণ্ডলের উপরিভাগে কি কি আশ্চৰ্য্য পদার্থ সকল আছে, এক কেন্দ্ৰ হইতে আর এক কেন্দ্র গর্ভে কি কি চমৎকার জীবজন্তু পৰ্যন্ত প্রসারিত মহাসমুদ্রের গ ও উদ্ভিদ সকল আছে, তিনি অলৌকিক কবিত্ত্ব শক্তি সহকারে এই সকল বর্ণনা করিবেন । তিনি দেশ ভেদে কাল ভেদে ঈশ্বরের অসীম রচনা সকল অবিনশ্বর কবিতাতে কীৰ্ত্তন করিবেন। তিনি যেমন নৈসৰ্গিক পদার্থ সকল বর্ণনা করিবেন তেমনি পুরাবৃত্তে বিবৃত ঘটনা সকলেও ঈশ্বরের হস্ত আমারদিগকে সম্প্রদর্শন করাইবেন । তিনি এই সকল বিষয় বর্ণনা কালে এই রূপ মধুর হিতোপদেশ প্ৰদান করিবেন যে, লোকের মন তাহা শ্ৰবণ করিয়া একবায়ে বিমুগ্ধ হইবে। কখন বা বজের ন্যায় তঁহার কবিতা তেজস্বী ও গভীরস্থান হইবে, কখন বা সুমন্দ মাৰুতি-হিল্লোল-স্পন্দিত গোলাবের ন্যায় তাহা সুললিত হইবে । তিনি প্ৰকৃতি রূপ বীণা যন্ত্র বাদন করিয়া এইরূপ গান’করিবেন যে মৰ্ত্ত লোক স্তব্ধ হইয়া শুনিবে, বোধ হইবে যেন কোন স্বৰ্গলোক বাসী দেব পুৰুষ গান করিতেছেন। হা ! এমন কবি কবে আমাদিগের মধ্যে উদিত হইবেন ? জগদীশ্বর আমাদিগের এই প্রত্যাশা কোন দিন অবশ্য পূর্ণ করবেন।