পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 9 < ܠ ] করিতেছে। তোমার মনে এত দাৰুণ কষ্ট প্ৰদান করিয়াছি, তথাপি তোমার স্নেহের নূ্যনত হয় নাই । তুমি তোমার শেষ পীড়ার সময় নিজের ক্লেশের প্রতি দৃষ্টি না করিয়া আমার হিতকর কাৰ্য সাধনে ব্যস্ত ছিলে ; সেই পীড়ার সময় আমি ভাল খাইব বলিয়া, আমার পুনঃপুনঃ নিষেধ বাক্য না শুনিয়া আমার জন্য অন্ন ব্যঞ্জন প্ৰস্তুত করার কথা যখন আমার মনে হয়, তখন হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া, যায় । এমন সুকোমল স্বৰ্গীয় স্নেহ কি আর দেখিতে পাইব ? আমার প্রতি এরূপ স্নেহের দৃষ্টান্ত দেখা জন্মের মত ফুরাইল ? এখন কতই চিন্তা আমার মনকে আকুলিত করিতেছে, তোমার প্রতি কতই যত্নের ত্রুটি স্মরণ হইতেছে, কতই শুশ্ৰষ্যার নূ্যনত মনে পড়িয়া যন্ত্রণারূপ পেষণীযন্ত্রে আমার চিত্তকে নিপীড়িত করিতেছে । মা ! আর কি তোমার সহিত দেখা হইবে না যে, সেই সব যত্নের ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতে পারিব ? আমার হৃদয় বলিয়া দিতেছে যে তোমার সহিত পুনরায় সাক্ষাৎ হইবে, যে তুমি পুনরায় আমাকে স্নেহ ভরে আলিঙ্গন করিবে । হে বিশ্বপিতা অখিলমাতা পরমেশ্বর । তোমার মঙ্গল ইচ্ছায় আমার স্নেহময়ী মাতা এ লোক হইতে অবসৃত হইলেন। তোমার এই শুত সংকল্প সাধন করিবার নিমিত্ত তিনি আমদিগের নিকট হইতে বিদায় গ্ৰহণ করিলেন । এক্ষণে আর আমরা তেমন স্নেহপূর্ণ মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইব না । তেমন স্নেহগর্ভ আহ্বান আর শুনিতে পাইব না । আমরা এ জন্মের মত সে অভয় ক্রোড় হইতে বিচ্যুত হইলাম। তিনি তোমার মঙ্গল ভাবের সাক্ষাৎ প্রতিমূৰ্ত্তি ছিলেন । তঁহার ভাব |