পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মক্রীড়া আত্মরতি; ক্রিয়াবাৰ এষাব্রহ্মবিদাং বরিষ্ঠীৰ এই বৃহৎ ও বিচিত্ৰ পৃথিবীর চতুর্দিক অবলোকন করিলে ইহা দেদীপ্যমান প্ৰতীতি হইবে, যে ঈশ্বরের দয়ার আর শেষ নাই-ক্ষমার আর পার নাই । দেখি এক শরীর বিষয়ে অহোরাত্র আমরা কত নিয়ম ভঙ্গ-কত অত্যাচার করিতেছি, যাহা আমারদিগের নিকটে অত্যাচারই বোধ হয় না, অথচ আমরা কত বৎসর পাৰ্য্যন্ত জীবিত রহিয়াছি । যিনি এই শরীরবিষয়ক নিয়ম ভঙ্গ না করেন-যিনি আহার, বিহার, ব্যায়াম, নিদ্রা প্ৰভৃতি তাবৎ শারীরিক কাৰ্য উপযুক্ত মত সম্পন্ন করেন, তিনি অতি অপূৰ্ব সুখাস্বাদন করেন। শরীরের স্বচ্ছন্দতা থাকিলে সুখ আপনা হইতে উপস্থিত হয় । রাজা যদ্যপি হীরকরচিত সিংহাসনোপবিষ্ট হয়েন, আর সুগন্ধ-পুষ্প-বিস্তুত কোমল শয্যোপরি শয়ন কয়েন, তথাপি চিররোগী হইলে তঁহার তদ্বারা সুখের সম্ভাবনা কি ? যে সুস্থ-কায় কৃষক সমস্ত দিবস পরিশ্রম পূর্বক কেবল শাকায় আহার করত পর্ণ-কুটীরে কাল যাপন করে, তাহার সুখের নিকটে সে রাজার সুখ কোথায় থাকে ? হা! জগদীশ্বরের কৰুণার কি সীমা আছে ? ভঁাহার নিয়মানুযায়ী প্ৰত্যেক কৰ্ম্মে তিনি বিচিত্র সুখ সংযোগ করিা