পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( করিতেছে। কিন্তু পৃথিবীময় এই সকল বিভীর্ণ মুখের দ্বারাও পরমেশ্বরের রূপা তাদৃশ ব্যক্ত হয় না, যাদৃশ আমাদিগের দুঃখাবস্থাতে তাহার উপলব্ধি হয়। যখন চতুর্দিক হইতে বিপদের দ্বারা আবৃত হুই-যখন সকলে আমারদিগকে পরিত্যাগ করে, তখন তিনি পরিত্যাগ করেন না ; তিনি তৎকালে আমাদিগের মনে তিতিক্ষাকে প্রেরণ করেন, যাহার সাহায্যে আমরা সমুদায় দুঃখকে অতিক্রম করিতে সমর্থ হই। হা ! আমরা এই স্থানে—এই পৃথিবীতে কি করিতেছি? আমাদিগের এমত পাতা, এমত সুহৃৎ, এমত বন্ধুকে ভুলিয়া রহিয়াছি। আমরা আমারদিগকে স্বয়ত্ত্ব—এই দেহকে নিত্য জ্ঞান করিয়া কাল ক্ষেপণ করিতেছি ! এমত কৰুণাকরকে একবার ভ্ৰমেও স্মরণ করি না! এই পৃথিবীতে কাহারও কর্তৃক কিঞ্চিৎ উপকৃত হইলে তাহার প্রতি আমরা কত কৃতজ্ঞ হই, কিন্তু যাহার কৰুণা-স্রোতে আমরা অহনিশি সন্তরণ করিতেছি, যাহা হইতে আমরা জীবন প্ৰাপ্ত হইয়াছি, র্যাহাতে আমরা জীবিতবান রহিয়াছি, যাহার দ্বারা আমরা তাবৎ সুখ সম্পত্তি লাভ করিতেছি, তঁহাকে স্মরণ না করা কি বুদ্ধিমান জীবের উচিত ? এই মনুষ্যলোকে সাধারণ অপেক্ষা জ্ঞান র্যাহার কিঞ্চিৎ অধিক থাকে, তঁহার প্রতি আমরা কত অনুরাগ প্ৰকাশ করি, কিন্তু যিনি জ্ঞান-স্বরূপ, যাহার জ্ঞানের অন্ত নাই, তঁহাতে অনুরাগ করা কি এককালেই উচিত নহে? কোন সুন্দর বস্তু প্ৰত্যক্ষ হইলে কত প্রোমের উদয় হয় ; কিন্তু যিনি সৌন্দর্ঘ্যের সৌন্দৰ্য্য রূপে সৰ্ব্বত্ৰ প্ৰকাশ পাইতেছেন, তঁাহার প্রতি যাহার প্ৰেম না হয়, সে কি মনুষ্য ? বন্ধু যিনি নেত্রী