পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুত জীবন-সন্ধা।। পর্যন্ত কাপিতে লাগিল । অবমাননা সহা করিতে না পারিয়া দেশকাল বিস্তুত হইয়া লম্ফ দিয়া অপরিচিত যুবকের গলদেশ ধারণ করিলেন । + তৎক্ষণাৎ শত ভালযোদ্ধা ধতুকে তীর সংযোজনা করিল । অপরিচিত যুবক বামহস্তে তাহাদিগকে নিষেধ করিলেন, দক্ষিণহস্তে ধীরে ধীরে দুজ্জয়সিংহকে শূন্যে উঠাইয়া অস্থরবায্যের সহিত দশহস্ত দূরে নিক্ষেপ করিলেন ! ভুজয়সিংহ উঠিয়া দাড়াইলেন, যুবকের দিকে চাছিলেন, সবক অবিচলিত ও নিষ্কম্প । যুবকের কোষে আসি রহিয়াছে, যুবক তাহা স্পর্শ করেন নাই। পূৰ্ব্ববৎ স্থির অবিচলিতস্বরে কহিলেন— শষ্য রচনা হইয়াছে। । দুজ্জয়সিংহ নতশিরে কহিলেন,—অদ্যই স্বর্যামহলে যাইব । তখন যুবক দুজ্জয়সিংহের নিকটে অসিলেন, পুনরায় উষ্ণাষ দিয়া নয়নদ্বয় আবুত করিলেন ও স্বয়ং অতিথির হস্তধারণ করিয়া গুহা হইতে বাহির হইলেন। এক ক্রোশ দুইজনে পঞ্চবত নামিতে লাগিলেন, একটা কথামাত্র নাই । নৈশ বায়ুতে বুক্ষপত্র মন্মর শব্দ করিতেছে, স্থানে স্থানে জলপ্রপাতের শব্দ শুনা যাইতেছে, সময়ে সময়ে দূরস্থ শৃগাল বা বন্যপশুর শব্দ পথিকের কণে প্রবেশ করিতেছে । সে নৈশ বায়ুতে দুর্জয়সিংহের জলন্ত ললাট শীতল হইল না, সে নিস্তব্ধতায় তাহার হৃদয়ের উদ্বেগ স্তব্ধ হইল না । এক ক্রোশ পথ আসিয়া যুবক দুজ্জয়সিংহের নয়নের বস্ত্র খুলিয়া দিলেন, দুৰ্জ্জয়সিংহ দেখিলেন, যে স্থানে যুবক র্তাহার প্রাণরক্ষা করিয়াছিলেন, এ সেই স্থান। যুবক এইস্থানে দুৰ্জ্জয়সিংহের প্রাণরক্ষা করিয়াছিলেন, তাহ স্মরণে র্তাহার মুখ পুনরায় আরক্ত