পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ -পুত্ৰশোক । 辜舞 গোকুলদাসকে চিনিতে পারিয়া সম্মুণস্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন— বুদ্ধ শুগাল, কর দিলার চেষ্টা করিতেছিল, না জাতীয় ধৰ্ম্ম অনুসারে কুমন্ত্রণ করিতেছিস ? গোকুলদাস সৈন্ত দেখিয়া দূরে দণ্ডায়মান ছিল, দুৰ্গেশ্বর দ্বারা এইরূপ তিরস্কৃত হইয়া ক্রুদ্ধ হইল, কিন্তু প্রভূর বিরুদ্ধে দাস কি করিবে ? ধীরে ধীরে পুলহস্তকে প্রণাম করিল। পুনরায় দুজ্জয়সিংহ কর্কশাস্বরে পূৰ্ব্বোক্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলেন। দুজ্জয়সিংহের কথায় বৃ.দ্ধর মুখমণ্ডল উষ্ণ শোণিতে রঞ্জিত হইল, তথাপি বৃদ্ধ ধীরে ধীরে কেবল এই মাত্র বলিল— প্রভু, কুমন্ত্রণ আমাদের বংশের অভ্যাস নহে। দুৰ্জ্জয় । তবে ভীরু শৃগালেব বংশে সুমন্ত্রণা অভ্যাস কতদিন হইয়াছে ? বশী দাসৰংশ সাধু মাচরণ কতদিন শিপিয়াছে ? গোকুলদাস । প্রভু, আমাদিগের দুর্ভাগ্যবশতঃ আমরা বশী বটে, কিন্তু দাসত্বের সহিত এখনও ভীরুতা অভ্যাস করি নাই, আমরা রাজপুত । অন্তান্ত অশ্বারোহিগণ দেখিলেন, নিৰ্ব্বোধ গোকুলদাস আপনি আপনার মৃত্যু ঘটাইতেছে। ছুজ্জয়সিংহ ক্রুদ্ধ স্বরে কছিলেন—রে বুদ্ধ, পুত্রের প্রাণদণ্ড হইয়াছে, তথাপি এখনও রাজার প্রতি আচরণ শিখিলি না ? দুৰ্জ্জয়সিংহ এইরূপে দাসকে আচরণ শিখায়। এই বলিয়া ক্রুদ্ধ দুৰ্জ্জয়সিংহ পদাঘাত করিয়া বুদ্ধ গোকুলদাসকে ভূতলশায়ী করিলেন। নিৰ্ব্বাক্ হইয়া সেস্থান হইতে সৈন্তগণ চলিয়া গেল । শ্বেত্তশাশ্র দীর্ঘাকার বৃদ্ধ গাত্রোথন করিল। রাজপুতের পক্ষে এই অসহ্য অবমাননায় একটাও শব্দ উচ্চারণ করিল না,