পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ-প্রতাপসিংহ। ## কছিলেন–পিতা যখন হত্যাকারক রণবীরের কর কবল হইতে গোপনে আনীত হইয়া এই কমলমীরে গোপনে বাস করিতেছিলেন, যখন পিতাকে সকলে সন্দেহ করিয়াছিলেন, চোস্থানকুলেশ্বরই তাহার সহিত আহার করিয়া সন্দেছ ভঞ্জন করেন । চৌহানকুল সে স্বামীধৰ্ম্ম এখনও বিস্তৃত হয়েন নাই । চোহান। চৌহানকুল স্বামীধৰ্ম্ম কখনও বিস্কৃত হয় না। প্রতাপ । বিজলীপতি ! আপনার পিতাই পিতার সেই দুরবস্থায় তাহাকে কন্যাদান করিয়াছিলেন। মাতুল ! আপনি প্রতাপের প্রতি যত্ন ভুলিবেন না, এই আসন্ন যুদ্ধে প্রতাপের নাম ও প্রতাপের গৌরব রক্ষা করিবেন। উল্লাসে বিজলীপতি কহিলেন—সে গৌরব রক্ষার্থ প্রমরকুল সানন্দে জীবনদান করিবে । - পরে দৈল ওয়ারার অধীশ্বরের দিকে চাহিয়া মহারাণ কহিলেন –ঝালাকুল মেওয়ারের স্তস্তস্বরূপ, আসন্ন বিপদে তাহারাই আমাদিগের প্রহরীস্বরূপ । দৈলওয়ারাপতি উত্তর করিলেন — ঝালা স্বামীধৰ্ম্ম জানে, যুদ্ধকালে মহারাণার পাশ্বত্যাগ করে না। এইরূপে সকল যোদ্ধার সহিত ক্ষণেক কথোপকথন হইলে পর মহারাণা কহিলেন— “বীরগণ ! আপনাদিগকে আহবান করিবার কারণ আপনাদিগের নিকটে অজ্ঞাত নাই। সমগ্র ভারতক্ষেত্রের সৈন্যবল মেঘরাশির ন্যায় একত্রিত হইতেছে ; বর্ষাকালের প্রারম্ভেই মেওয়ারভূমির উপর আসিয়া পড়িৰে । শক্ৰগণ আমাদিগকেও মধুপ্ত দেখিবে না। তাহার মেওয়ারের উৰ্ব্বর ক্ষেত্র জঙ্গলময়