পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

म*भ *ब्रिtप्रश्न-cन पैौज़ ठा|८ण* । "দুৰ্জ্জয়সিংহ মাতার এ পণ শুনিল, নারী-রক্ষিত দুর্গ আক্রমণ করিতে ভীরু ভীত হইল। অর্থবলে দুর্গের দ্বার উদঘাটিত হইল, তস্করের স্তায় রজনীযোগে দুর্জয়সিংহ দুর্গে প্রবেশ করিল। “তথাপি যোদ্ধাগণ বিনা যুদ্ধে দুর্গ ত্যাগ করে নাই। তোরণে, সিংহদ্বারে, গৃহের ভিতর, সেই অন্ধকার রজনীতে তুমুল সংগ্রাম হইয়াছিল। তস্করেরা বুঝিল, রাঠোরের মৃত্যুকে ডরে না, শত শক্র হত্যা করিয়া উল্লাসে প্রাণদান করে । "হ্রদের উপর যে গবাক্ষ আছে মাতা তথায় দণ্ডায়মান ছিলেন, বামহস্তে আমাকে ধরিয়াছিলেন, দক্ষিণ হস্তে সেই ছুরিকা ! “ক্রমে আমাদিগের যোদ্ধাগণ হত হইল ; ক্রমে যুদ্ধতরঙ্গ ও যুদ্ধনাদ সে দিকে আসিতে লাগিল শেষে সেই গৃহের কবাট ভগ্ন হইল । চন্দা ওয়ৎগণ সেই গৃহে মহাকোলাহলে প্রবেশ করিল ; সৰ্ব্বাগ্রে রক্তাল্পত দুৰ্জ্জয়সিংহ। “সেই রুধিরাক্ত কলেবর দেখিয়া মাতা কম্পিত হইলেন না, সেই প্রচণ্ড যুদ্ধনাদ শুনিয়া মাতানয়ন মুদিত করেন নাই ! স্বৰ্গীয় স্বামীর নাম লইয়া মাতা তাঙ্ক ছুরিকা উত্তোলন করিলেন, জলস্তনয়নে সেই নরাধমের দিকে চাছিলেন। নারীর তীব্রভৃষ্টির সম্মুখে ভীরুর গতি সহসা রোধ হইল, তস্কর সেই ছুরিকার অগ্রে স্তন্ধ হইয়াছিল। মাতা সেই ছুরিক হস্তে দুর্জয়সিংহের দিকে বেগে ধাবমান হইলেন। সেই মুহূর্তে এই জগৎ হইতে সেই রাজপুতকলঙ্ক অন্তহিত হইত, কিন্তু তাহার একজন সৈনিক আপন প্রাণ দিয়া প্রভুর প্রাণ বাচাইল, মাতার ছুরিকা সৈনিকের হৃদরের