পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
সমসের গাজি



(১৫)

সমসের গাজি

 ত্রিপুরার সিংহাসন শূন্য হইয়া পড়িলে জয়মাণিক্যের কনিষ্ঠ ভ্রাতা হরিধন ঠাকুর নবাব হইতে সনন্দ গ্রহণ পূর্ব্বক বিজয়মাণিক্য নামে ভূষিত হইয়া রাজদণ্ড ধারণ করেন। হস্তি সংগ্রহ করাই ছিল নবাব ও রাজার মধ্যে এক মাত্র সম্বন্ধ। বিজয়মাণিক্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কৃষ্ণমণি যুবরাজ। যতদিন বিজয়মাণিক্য যথারীতি হস্তিকর পৌঁছাইতে পরিবেন ততদিন সিংহাসন নিষ্কণ্টক, সুতরাং মহারাজ হাতীর খেদায় অত্যন্ত মনোযোগ দিলেন। কালের কি কুটিল গতি, যাঁহার পূর্ব্বপুরুষগণের প্রতাপে বাঙ্গালার নবাব সন্ত্রস্ত থাকিত আজ তাঁহার কার্য্য হইতেছে কিরূপে চুক্তি অনুযায়ী হাতী ধরা যায়। বন তন্ন তন্ন করিয়া বহু চেষ্টা হইল কিন্তু হাতী মিলিল না, এখন উপায়?

 তখন বঙ্গের অধিপতি আলিবর্দ্দি খাঁর অধীনে ঢাকার নায়েব নাজিম ছিলেন নিবাইস মহম্মদ, হোসেন কুলি খাঁ ছিলেন তাহারই সহকারী। হোসেন কুলি খাঁর সহিত ত্রিপুরেশ্বরের সাক্ষাৎ সম্বন্ধ ছিল। হোসেনের সহায়তায় বিজয়মাণিক্য