পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৬৬
বীরবিক্রমকিশোর

গিয়াছে, যাহারা যাইতে অনিচ্ছুক মহারাজ তাহাদের জন্য নিজব্যয়ে বাসগৃহ নির্ম্মাণ করিয়া দিতেছেন এবং গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য জমি বন্দোবস্ত দিতেছেন। মহারাজের এই অভূতপূর্ব্ব জন-হিতকর ব্রতের সুযোগ পাইয়া জনসেবাপরায়ণ রাজধানীস্থ ব্যক্তিবর্গও ধন্য হইয়াছে। দৈনিক সংবাদপত্রের মুখে এ কাহিনী দেশ দেশান্তরে এতটা প্রচারিত হইয়াছে যে এ সম্বন্ধে অধিক উল্লেখ নিষ্প্রয়োজন।

 ১৩৪৮ বাঙ্গালার ২৫শে বৈশাখ বৃহস্পতিবার কবীন্দ্র রবীন্দ্রনাথের অশীতিবর্ষ পূর্ণ হওয়ায় দেশে জয়ন্তী উৎসবের সাড়া পড়িয়া যায়। ত্রিপুরা রাজ্যের সহিত কবিবরের ঘনিষ্ঠতা অর্দ্ধশতাব্দীর ঊর্দ্ধকাল চলিতেছে, এ সম্পর্কে যথা স্থানে উল্লেখ করা হইয়াছে। মহারাজ এ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথকে সম্মানিত করিবার জন্য “রবীন্দ্র জয়ন্তী দরবার” আহ্বান করেন এবং ঐ দরবারে কবিকে “ভারত ভাস্কর” আখ্যায় ভূষিত করেন। মহারাজের রোবকারী শান্তিনিকেতনে কবির হস্তে প্রদান করিবার জন্য রাজদূত প্রেরিত হয়।

 ৩০শে বৈশাখ মঙ্গলবার উত্তরায়ণের প্রাঙ্গনে সভার অধিবেশন হয়—চিত্তাকর্ষক অনুষ্ঠানের মধ্যে রোবকারী পাঠান্তে কবির হস্তে উহা মহারাজের নামাঙ্কিত মোহর সহ অর্পিত হয়। কবি সাগ্রহে উহা গ্রহণ করেন এবং মহারাজকে তাঁহার সর্ব্বান্তঃকরণে আশীর্ব্বাদ জ্ঞাপন করেন। শরীর অত্যন্ত অসুস্থ বলিয়া কবির প্রত্যুত্তর পুত্র রথীন্দ্রনাথ পাঠ করেন।