আশ্রয় পায়, আমি আমার অংশ ছেড়ে চলে যাব। দাও আমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে, ও থাকুক এখানে। যে বাড়িতে ও রকম মেয়েমানুষ বাস করে নিজের মেয়ের সেখানে থাকা পছন্দ করার মত লোক আমার বাবা নন।
মথুর তিক্ত হইয়া বলিল, এসব আবার কি?
—না, আমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দাও। সে উত্তর দিল।
এইবারে মথুর নরম হইয়াছিল, বলিল, জান তো আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারি না! এ ছেলেমানুষি রাখ।
উত্তর হইল, তা হলে ওকে তাড়াও —ওকে তাড়াও, ও তোমার কে যে ওকে তাড়াতে বাধা হবে।
—আচ্ছা, একটু ভাববার সময় দাও।
এই কথা বলিয়া মথুর ঘর ছাড়িয় চলিয়া গেল। মনে থাকিল, যত দিন স্ত্রীর মত না বদলায়, ততদিন তাহাকে কোনও প্রকারে ভুলাইয়াভালাইয়া ঠেকাইয়া রাখিবে।
সেদিন সন্ধ্যায় সে যখন পুনরায় এই ঘরে ফিরিল, তখন এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখিল। ঘরের এক কোণে, তাহার শয্যা হইতে অনেক দূরে—অপর ঘর হইতে একটি সামান্য খাট আনাইয়া, তদুপরি আর একটি বিছানা পাতা হইয়াছে।
—এ কার জন্যে? অতিরিক্ত শয্যার প্রতি দৃষ্টি পড়াতে মথুর জিজ্ঞাসা করিল। চম্পক কথা কহিল না, শুধু শয্যার উপর নিজেকে নিক্ষেপ করিয়া কোন উত্তর না দিয়া ঘুমাইয়া পড়িল।
স্ত্রৈণ মথুর ঘোষের সে রাত্রি কেমন কাটিল, তাহা আমাদের পাঠকবৃন্দ অনুমান করিবেন। পরদিন সকালে ঘুম ভাঙিয়া বৈঠকখানায় গিয়া সে দেখিল, তাহার জন্য এক ব্যক্তি অপেক্ষা করিতেছে—রাজমোহন ঘোষ বলিয়া সে নিজের পরিচয় দিল। সে মথুরকে তাহার আগমনোদ্দেশ্য