।৹
Wife এবং “বিবিধ” খণ্ডে ‘বারি-বাহিনী’ হইতে বঙ্কিমচন্দ্র-কৃত সাত পরিচ্ছেদের অনুবাদ প্রকাশিত হইয়াছে।
Rajmohan's Wifeএর মৎকৃত অনুবাদ। চতুর্থ পরিচ্ছেদ হইতে) ‘বঙ্গশ্রী’ পত্রিকায় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের মাঘ হইতে ১৩৪০ বঙ্গাব্দের মাঘ পর্য্যন্ত ১৩ মাস ধরিয়া বাহির হয়। এই পুস্তকে ‘বারি-বাহিনী’র সহায়তায় প্রথম তিন পরিচ্ছেদও যুক্ত হইয়াছে। এই তিন পরিচ্ছেদে কোটেশন-মার্কা দেওয়া অংশ বঙ্কিমচন্দ্রের অনুবাদ। বঙ্কিমচন্দ্রের নিজের কৃত চতুর্থ পরিচ্ছেদ হইতে সপ্তম পরিচ্ছদের অনুবাদ থাকা সত্ত্বেও এই পুস্তকে তাহা ব্যবহার করি নাই, কারণ আমরা মূল ইংরেজীরই যথাযথ অনুসরণ করিয়াছি। বঙ্কিমচন্দ্রের স্বহস্ত-লিখিত পাণ্ডুলিপির একটি পৃষ্ঠা শচীশচন্দ্র ‘বারি-বাহিনী’তে প্রকাশ করিয়াছেন। আমরা এই পুস্তকে তাহারই একটি প্রতিলিপি দিলাম।
‘রাজমোহনের স্ত্রী’র বঙ্কিম-কৃত অনুবাদ-অংশের ভাষা লইয়া কিছু আলোচনা আবশ্যক, কারণ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এই অনুবাদটুকু বঙ্কিমের ভাষার ক্রমপরিণতির পরিচয় বহন করিতেছে। এই কাঁচা-পাকা ভাষার সংমিশ্রণ দৃষ্টে শচীশচন্দ্রের মনেও সংশয় জাগিয়াছিল। সেই কারণেই তিনি ‘বারি-বাহিনী’র “ভূমিকা”য় লিখিয়াছিলেন—
বঙ্কিমচন্দ্র তাঁহার সাধারণ ভাষা পরিত্যাগপূর্ব্বক এক অভিনব ভাষায় এই পুস্তকখানির রচনায় প্রবৃত্ত হইয়া ছিলেন।
আসলে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের প্রভাববর্জ্জিত ভাবে এই কয়টি পৃষ্ঠাই বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম বাংলা-গদ্যরচনা। ইতিপূর্ব্বে ‘সংবাদ প্রভাকরে’ তাঁহার যে গদ্যরচনা বাহির হইয়াছিল, তাহাকে অপাঠ্য গদ্য বলিলে অপরাধ হয় না। ‘রাজমোহনের স্ত্রী’ অনুবাদ করিতে বসিয়া বঙ্কিমচন্দ্র সেই ভাষাকে নির্ম্মমভাবে ত্যাগ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। টেকচাঁদ ঠাকুর—প্যারীচাঁদ মিত্রের ‘মাসিক পত্রিকা’ এবং ‘আলালের ঘরের দুলাল’ ও