পাতা:রাজযোগ.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ অপেক্ষাকৃত শক্ত স্থত ছিল, তাহাতে সংযোগ করিতে আদেশ দিলেন। পরে উহাও তাহার হস্তগত হইলে ঐ উপায়ে তিনি দড়ি ও অবশেষে মোট কাছিটিও পাইলেন। এখন আর বড় কিছু কঠিন কাৰ্য্য অবশিষ্ট রহিল না ; মন্ত্রী ঐ রজুব সাহায্যে দুর্গ হইতে অবতরণ করিয়া পলায়ন করিলেন। আমাদের দেহে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি যেন রেশম স্বত্র-স্বরূপ । উহাকে ধারণ বা সংযম করিতে পারিগেই স্বায়বীর-শক্তিপ্রবাহ-স্বরূপ ( nervous currents) স্থতার বাণ্ডিল, তৎপরে মনোবৃত্তিরূপ দড়ি ও পরিশেষে প্রাণরূপ রজ্জ্বকে ধবিতে পারা যায় ; প্রাণকে জয় করিতে পারিলেই মুক্তিলাভ হইয়া থাকে। আমরা স্বস্ব শরীবসম্বন্ধে অতিশয় অজ্ঞ ; কিছু জানাও সম্ভব বলিয়া বোধ হয় না । আমাদের সাধ্য এই পৰ্য্যস্ত যে, আমরা মৃত-দেহ-বাবচ্ছেদ করিয়া উহার ভিতর কি আছে না আছে দেখিতে পারি ; কেহ কেহ আবার জীবিত দেহ ব্যবচ্ছেদ করিয়া উহার ভিতর কি আছে না আছে দেখিতে পারেন, কিন্তু উহার সহিত আমাদের নিজ শরীরের কোন সংস্রব নাই। আমরা নিজ শরীরের বিষয় খুব অল্পই জানি । ইহার কারণ কি ? ইহার কারণ, আমরা মনুকে ততদুব একাগ্র করিতে পারি না, যাহাতে আমরা শরীরাভ্যস্তরস্থ অতি স্বক্ষসূক্ষ্ম গতিগুলিকে ধরিতে পারি। মন যখন বাহবিষয়কে পরিত্যাগ করিয়া দেহাভ্যস্তরে প্রবিষ্ট হয়, ও অতি স্বাক্ষাবস্থা লাভ করে,২তুখনই আমরা ঐ গতিগুলিকে জানিতে পারি। এইরূপ স্বাক্ষানুভূতি-সম্পন্ন হইতে হইলে প্রথমে ಕ್ಷೌಡ আরম্ভ করিতে হইবে। দেখিতে হইবে, সমুদয় শরীরwog -