পাতা:রাজাবলি - শ্যামধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৫০ )

উক্তিতে বাদশাহের নিকট এক কবিতা পাঠ করেন যদিও শ্রুত কটু কথা বটে কিন্তু কবিতা শ্রবণে তৈমুর নানা প্রকারে তুষ্ট হইয়া ঐ অন্ধা কাব্য কারিণী স্ত্রীকে নানা সম্মান করিলেন অর্থাৎ সন্তানেরাও যেন গুণি লোকের কটু উক্তিতে রুষ্ট হন বলিয়া অনেক বৃত্তি দিলেন।

 সম্পতি বাবোরের বিবরণ লিখিতেছি সকলে মনোযোগ করিবেন বাবোর শাহা যখন ১৫০০০ পনের হাজার সওয়ার সমেত জলপথে আইসেন তখন এবরাহিম শাহা লক্ষ সওয়ার সমেত তাহার সঙ্গে যুদ্ধ করেন তাহাতেও কিছু করিতে না পারিয়া মরিলেন।

 পরে বাবোর শাহা দিল্লীতে আসিয়া ওমরাও দিগের পুরস্কার করিলেন এবং যে সকল ধন দিল্লীতে পোতা ছিল তাহা উঠাইয়া এবং বাদশাহী খাজানার কতক ধন লইয়া মক্কা ও মদিনা সবকন্দা এবাক বোখারা খোরাশান কাশ্মীর ও বদফসা কবুল এই সকল সহরের মধ্যে যে সকল আত্মীয় ও দুঃখি লোক ছিল তাহারদিগকে পাঠাইয়া এবং উত্তম২ সামগ্রী সকল পাঠাইয়া দিয়া সন্তুষ্ট করিলেন এবং বাবোর শাহার আগমনে হিন্দুস্থানের প্রধান২ লোক তুষ্ট হইয়া আসিয়া মিলিলেন এবং আপন পুত্র হোময়ুকে ইষায়ুল অবধি জৌনপুর পর্যন্ত দেশ দিলেন।

 পরে সোকরালা ও হোসেন খাঁ প্রভৃতি একত্র ফতেপুরে দৌরাত্ম করাতে বাবোর শাহা আপন পুত্রকে আনয়ন করিয়া