পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 o' রাজা প্রজা । এ সময়ে কোনো কথা বলিয়া কেহ অল্পের উপর দিয়া নিস্কৃতি পাইয়া যান না ইহা সময়ের একটা শুভ লক্ষণ সন্দেহ নাই । তবু তর্কের উত্তেজনা যতই প্রবল হোক যাহাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনো কোনো জায়গায় মতের অনৈক্য ঘটিতেছে দেশের হিতসাধনে র্তাহাদেরও আন্তরিক নিষ্ঠা আছে এই শ্রদ্ধা যখন নষ্ট হইবার কোনো কারণ দেখিনা, তখন আমরা পরস্পর কি কথা বলিতেছি কি ইচ্ছ। করিতেছি তাহা সুস্পষ্ট করিয়া বুঝিয়া লওয়া আবশ্যক। গোড়াতেই রাগ করিয়া বসিলে অথবা বিরুদ্ধ পক্ষের বুদ্ধির প্রতি সন্দেহ করিলে নিজের বুদ্ধিকে হয় ত প্রতারিত করা হইবে। বুদ্ধির তারতম্যেই যে মতের অনৈক্য ঘটে একথা সকল সময়ে খাটে না । অধিকাংশ স্থলে প্রকৃতিভেদেই মতভেদ ঘটে অতএব মতের ভিন্নতার প্রতি সম্মান রক্ষা করিলে যে নিজের বুদ্ধিবৃত্তির প্রতি অসম্মান করা হয় তাহা কদাচই সত্য নহে । এইটুকুমাত্র ভূমিকা করিয়া “পথ ও পাথেয়” প্রবন্ধে যে আলোচনা উত্থাপিত করিয়াছিলাম তাহারই অনুবৃত্তি করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। ংসারে বাস্তবের সঙ্গে আমাদিগকে কখনো আপস করিয়া কখনো বা লড়াই করিয়া চলিতে হয়। অন্ধত বা চাতুরীর জোরে বাস্তবকে লঙ্ঘন করিয়া আমরা অতি ছোট কাজটুকুও করিতে পারি না। অতএব দেশহিতের সংকল্প সম্বন্ধে যখন আমরা তর্ক করি তখন সেই তর্কের একটি প্রধান কথা এই যে, সংকল্পটি যতই বড় হোক এবং যতই ভাল হোক বাস্তবের সঙ্গে তাহার সামঞ্জস্য আছে কিনা ? কোন ব্যক্তির চেক-বহির পাতায় কতগুলা অঙ্ক পড়িয়াছে তাহ লইয়াই তাড়াতাড়ি উৎসাহ করিবার কারণ নাই, কোন ব্যক্তির চেক্‌ ব্যাঙ্কে চলে তাহাই দেখিবার বিষয়। সঙ্কটের সময় যখন কাহাকেও পরামর্শ দিতে হইবে তখন এমন