(to রাজা প্রজা । হাকিম খুব জবরদস্ত, আইন খুব কঠিন, শাসন খুব কড়াক্কড়, কিন্তু এমন করিয়া স্থায়ী শাপ্তি স্থাপিত হয় কি না সন্দেহ। এমন করিয়া যেখানে বিরোধ নাই সেখানে বিরোধ বাধিয়া উঠে, যেখানে বিদ্বেষের ৰাজমাত্র আছে সেখানে তাহ অঙ্কুরিত ও পল্লবিত হইয়া উঠিতে থাকে। প্রবল প্রতাপে শাস্তি স্থাপন করিতে গিল্প সমাসমারোহে অশাস্তিকে জাগ্ৰত করিয়া তোলা হয় । সকলেই জানেন অনেক অসভ্যদের মধ্যে আর কোন প্রকার চিকিৎসা নাই কেবল ভূতঝাড়ানো আছে। তাহারা গর্জন করিয়া নৃত্য করিয়া রোগীকে মারিয়া ধরিয়া প্রলয়কাগু বাধাইয়া দেয় । ইংরাজ হিন্দুমুসলমানবিরোধব্যাধির যদি সেইরূপ আদিম প্রণালী মতে চিকিৎসা স্বরু করেন তাহাতে রোগীর মৃত্যু হইতে পারে কিন্তু ব্যাধির উপশম না হইবার সম্ভাবন। এবং ওঝা ভূত বাড়িতে গিয়া যে ভূত নামাই আনেন তাহাকে শাস্ত করা দুঃসাধ্য হইয়া উঠে । অনেক হিন্দুর বিশ্বাস, বিরোধ মিটাইয়া দেওয়া গবর্মেন্টের অস্তিরিক অতিপ্রায় নহে। পাছে কনগ্রেস প্রভৃতির চেষ্টায় হিন্দু মুসলমানগণ ক্রমশ: ঐক্যপথে অগ্রসর হয় এই জন্ত র্তাহারা উভয় সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মবিদ্বেষ জাগাইয়া রাখতে চান, এবং মুসলমানের দ্বারা হিন্দুর দর্পচূৰ্ণ করির মুসলমানকে সস্তুষ্ট ও হিন্দুকে অভিভূত করিতে ইচ্ছা করেন। অথচ লর্ডল্যান্সডাউন হইতে আরম্ভ করিয়া লর্ডহারিস পৰ্যন্ত সকলেই ৰলিতেছেন এমন কথা যে মুখে আনে সে পাষণ্ড মিথ্যাবাদী। ইংরাজ গবমেন্ট হিন্দু অপেক্ষ মুসলমানের প্রতি যে অধিক পক্ষপাত প্রকাশ করিতেছেন এ অপবাদকেও তাহারা সম্পূর্ণ অমূলক বলিয়া তিরস্কার कत्रि ब्रॉ८छ्न । *, আমরাও তাহদের কথা অবিশ্বাস করি না । কন্গ্রেসের প্রতি গৰমেন্টের সুগভীর প্রীতি না থাকিতে পারে এবং মুসলমানগণ হিন্দুদের
