পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কণ্ঠরোধ। やや তঙ্কে বিচলিত ও বিদীর্ণ হইয়া আমাদিগকে গ্রাস করিতে উষ্ঠত হয় তাহা হইলে তাহার শক্তি ও নীতির দৃঢ়তা সম্বন্ধে আমাদের চিরবিশ্বাস হঠাৎ প্রচণ্ড আঘাত প্রাপ্ত হয় । সেই আঘাতে প্রজার মনে ভয়সঞ্চার হওয়া সম্ভবপর কিন্তু সেই সঙ্গে নিজের প্রতিও তাছার অকস্মাৎ অত্যধিক মনোযোগ আকৃষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। হঠাৎ এ প্রশ্নটা আপনিই মনে উদয় হয় আমি না জানি কি ! সুতরাং ইহার মধ্যে আমাদের একটুখানি সান্তনা আছে। কারণ, সম্পূর্ণ নিস্তেজ নিঃসত্ব জাতির প্রতি বলপ্রয়োগ করা যেমন অনাবগুক, তেমনি তাহাকে শ্রদ্ধ করাও অসম্ভব । অামাদিগকে দমন করিবার জগু অতিরিক্ত আয়োজন দেখিলে দ্যায় অন্তায় বিচার অবিচারের তর্ক দূরে রাখিয়া একথা আমাদের স্বভাবতই মনে হয় যে, হয়ত আমাদের মধ্যে একটা শক্তির সম্ভাবনা আছে যাহা কেবল মুঢ়তাবশত আমরা সকল সময়ে উপলব্ধি করিতে পারি না। গবমেণ্ট যখন চারি তরফ হইতেই কামান পাতিতেছেন তখন ইহা নিশ্চয় যে আমরা মশ{ নহি,—অন্ততঃ মরা মশা নহি ! আমাদের স্বজাতির অস্তরে একটা প্রাণ, একটা শক্তির সঞ্চার সম্ভাবনা আমাদের পক্ষে পরমানন্দের বিষয় একথা অস্বীকার করা এমন সুস্পষ্ট কপটতা, যে, তাহা পলিসি স্বরূপে অনাবশ্বক এবং প্রবঞ্চনা স্বরূপে নিষ্ফল। অতএব গবমেন্টের তরফ হইতে আমাদের কোনো থানে সেই শক্তির স্বীকার দেখিতে পাইলে নিরাশ চিত্তে কিঞ্চিৎ গৰ্ব্বের সঞ্চার না হইয়া থাকিতে পারে না । কিন্তু, হায়, এ গৰ্ব্ব আমাদের পক্ষে সাংঘাতিক,—গুক্তির মুক্তার স্তায় ইহা আমাদের পক্ষে ব্যাধি,—উপযুক্ত ধীবররাজ আমাদের জঠরের মধ্যে কঠোর ছুরিকা চালাইয়া এই গৰ্ব্বটুকু নিঃশেষে বাহির করিয়া লইয়া নিজেদের রাজমুকুটের উপরে স্থাপন করিবেন। ইংরাজ নিজের আদর্শে পরিমাপ