পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* o রাজা প্রজা । করিতেই হইবে। বাহিরের জিনিষকে আমরা ঠিকৃঠাকুমত দেখি না, ঠিকঠাকুমত গ্রহণ করি না। যখন তখন বাহিরের নয়কে আমরা ছয় এবং ছয়কে আমরা নয় করিয়া থাকি । ইচ্ছা করিয়া না করিলেও এস্থলে অজ্ঞানকৃত পাপের ডবল দোষ—একে পাপ, তাহাতে অজ্ঞান। ইন্দ্রিয়কে এমন অলস এবং বুদ্ধিকে এমন অসাবধান করিয়া রাখিলে, পৃথিবীতে আমাদের দুটি প্রধান নির্ভরকে একেবারে মাটি করা হয় । বৃত্তান্তকে নিতান্ত ফাকি দিয়া সিদ্ধান্তকে যাহার কল্পনার সাহায্যে গড়িয়া তুলিতে চেষ্টা করে, তাহারা নিজেকেই ফাকি দেয় । যে-যে বিষয়ে আমাদের ফাকি আছে, সেই-সেই বিষয়েই আমরা ঠকিয়া বসিয়া আছি। একচক্ষু হরিণ যে দিকে তাহার কাণ চোখ ফিরাইয়া আরামে ঘাস খাইতেছিল, সেই দিক্ হইতেই ব্যাধের তীর তাহার বুকে বাজিয়াছে । আমাদের কাণ চোখটা ছিল ইহলোকের দিকে—সেই তরফ হইতে আমাদের শিক্ষা যথেষ্ট হইয়াছে । সেই দিকের বা খাইয়া আমরা মরিলাম ! কিন্তু স্বভাব না যায় ম’লে ! নিজের দোষ কবুল করিলাম, এবার পরের প্রতি দোষারোপ করিবার অবসর পাওয়া যাইবে । অনেকে এরূপ চেষ্টাকে নিন্দ করেন, আমরাও করি । কিন্তু যে লোক বিচার করে, অন্তে তাহাকে বিচার করিবার অধিকারী । সে অধিকারটা ছাড়িতে পারিব না । তাহাতে পরের কোন উপকার হইবে বলিয়া আশা করি না—কিন্তু অপমানের দিনে যেখানে যতটুকু আত্মপ্রসাদ পাওয়া যায়, তাহা । ছাড়িয়া দিতে পারিব না। আমরা দেখিয়াছি, আমাদের অত্যুক্তি অলসবুদ্ধির বাহপ্রকাশ । তা ছাড়া সুদীর্ঘকাল পরাধীনতাবশত চিত্তবিকারেরও হাত দেখিতে পাই। যেমন আমাদিগকে যখন-তখন, সময়ে অসময়ে, উপলক্ষ্য থাকৃ दी ना थांकू, छैौ९काबू कब्रिब्रां बलि८ङ श्ब्र-त्रांभद्रा ब्रांखख्ख । जथ5