পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১১৩ ] ইহাও ঐতিহাসিক সত্য। সাধারণতঃ পালবংশের রাজত্বকালে বঙ্গদেশে বারভূইয়া প্রথা বদ্ধমূল হয়। প্রতাপাদিত্যের সময় যে বারজন ভুইয়া ছিলেন তাহদের রাজ্য, আসাম পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল কিনা সন্দেহের বিষয় । ক্রমে আসামেও স্বতন্ত্র বার ভুইয়ার স্বষ্টি হয়। প্রতাপাদিত্যের সময় যে বারজন ভুইয়া ছিলেন তন্মধ্যে নয়জন মুসলমান ও তিন জন হিন্দু। মুসলমান নয়জনের মধ্যে কেবল সোনার গা বা কত্রভূর ইশাখা মসনদ আলির বিষয় অবগত হওয়া যায়, অন্য আটজনের কোন পরিচয় পাওয়া যায় না। হিন্দু তিনজনের মধ্যে শ্রীপুরের কেদার রায়, বাকলার রামচন্দ্র রায় ও যশোর বা সাগর দ্বীপের প্রতাপাদিত্যের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। জেসুইট পাদরীগণ র্তাহাদেরই কথা উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। উপক্রমণিকায় বার ভূইয়ার বিস্তৃত বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে। (৫৮) যশোহরেশ্বরী ঠাকুরাণী তিনি অদ্যাপিও আছেন—পূৰ্ব্বাপর এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, মানসিংহ যশোরেশ্বরীকে লইয়া গিয়া তাহার রাজধানী অম্বরে স্থাপিত করিয়াছিলেন। তিনি তথায় শিলাদেবী নামে প্রসিদ্ধ। শিলাদেবীর পুরোহিতগণ বঙ্গদেশ হহতে অম্বরে গমন করেন। এক্ষণে র্তাহাদের বংশ জয়পুরে আছেন। তাহাদের এক বংশ-পত্ৰী হইতে জানা যায় যে, শিলাদেবী কেদার রায়ের নিকট ছিলেন, মানসিংহ তথা হইতে র্তাহাকে লইয়া যান। বসুমহাশয়ও এস্থলে বলিতেছেন যশোরেশ্বরী অদ্যাপিও আছেন। অবশু ঈশ্বরীপুরে অদ্যাপি যশোরেশ্বরী আছেন বটে, কিন্তু তিনি প্রতাপাদিত্য কর্তৃক কি তৎপরে নিৰ্ম্মিত এ বিষয়ের মীমাংসা করা কঠিন। আমরা ( ৯৮} টিল্পনীতে ইহার বিস্তৃত আলোচনা করিব। (৫৯ ) কমল খোজা—বস্থমহাশয় কেবল প্রতাপাদিত্যের সেনাপতিগণের মধ্যে কমল খোজারই নাম উল্লেখ করিয়াছেন ৷ ঘটক -