ঈশোপনিষৎ { እ8°ላ ঘভিক্তেষু স এব। গোখরঃ ৷ যে ব্যক্তির কফপিত্ত বায়ুময় শরীরেতে আত্মার বোধ হয়। আর স্ত্রী পুত্ৰাদিতে আত্ম ভাব আর মৃত্তিক নিৰ্ম্মিত বস্তুতে দেবতা জ্ঞান হয। আর জলোতে তীর্থ বোধ হয়। আর এ সকল জ্ঞান তত্ত্ব জ্ঞানীতে না হয় সে ব্যক্তি বড় গরু অর্থাৎ অতি মূঢ় হয়। কুলাৰ্ণবে নবমোল্লাসে। বিদিতে তু পরে তত্ত্বে বর্ণান্তীতে হবিক্রিয়ে । কিঙ্করত্বং হি গছন্তি মন্ত্রীমন্ত্রাধিপৈঃ সহ ৷ ক্রিয়া হীন বৰ্ণান্তীতে যে ব্ৰহ্মতত্ত্ব তাহা বিদিত হইলে মন্ত্র সকল মন্ত্রের অধিপতি দেবতার সহিত দাসত্ব প্ৰাপ্ত হয়েন ৷ পরে ব্ৰহ্মণি বিজ্ঞাতে সমস্তৈর্নিয়মৈরািলং। তালবৃন্তেন কিং কাৰ্য্যং ব্লন্ধে মলয়মারুতে ৷ পরব্রহ্ম জ্ঞান হইলে কোন নিয়মের প্রয়োজন থাকে না। যেমন মালয়ের বাতাস পাইলে তালের পাখা কোনো কাৰ্য্যে আইসে না । মহানির্বাণ ॥ এবং গুণানুসারেণ রূপাণি বিবিধানি চ । কল্পিতানি হিতার্থায় ভক্তনামিল্লমেধসাং ৷ এই রূপ গুণের অনুসারে নানা প্রকার রূপ অল্প বুদ্ধি ভক্তদিগ্যের হিতের নিমিত্তে কল্পনা করা গিয়াছে। অতএব বেদ পুরাণ তন্ত্রাদিতে যত যত রূপের কল্পনা এবং উপাসনার বিধি দুর্বলাধিকারির নিমিত্ত কহিয়াছেন তাহার মীমাংসা পরে এই রূপ শত শত মন্ত্র এবং বচনের দ্বারা আপনিই করিয়াছেন। যদি কহ ব্ৰহ্মজ্ঞানের যেরূপ মাহাত্ম্য লিখিয়াছেন সে প্ৰমাণ কিন্তু ব্ৰহ্মজ্ঞানের সম্ভাবনা নাই। সুতরাং সাকার উপাসনা কৰ্ত্তব্য। তাহার উত্তর এই যে। ব্ৰহ্মজ্ঞান যদি অসম্ভব হইত। তবে ॥ আত্মা বাআরে শ্ৰোন্তব্যোমন্তব্যঃ । আত্মৈবোপাসীত ৷ এই রূপ শ্ৰীতি এবং স্মৃতিতে ব্ৰহ্মজ্ঞান সাধনের প্রেরণা থাকিতো না। কেন না। অসম্ভব বস্তুর প্রেরণা শাস্ত্ৰে হইতে পারে না। আর যদি কহ ব্ৰহ্মজ্ঞান অসম্ভব নহে। কিন্তু কষ্টসাধ্য বহু যত্নে হয় ইহার-উত্তর এই। যে বস্তু বহু যত্নে হয় তাহার সিদ্ধির নিমিত্ত সর্বদা যত্ন আবশ্যক হয় তাহার অবহেলা কেহ করে না। তুমি আপনিই ইহাকে কষ্টসাধ্য কহিতেছ। অথচ
