পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত গ্ৰন্থ । - ܘD মুখ আর স্বৰ্গ ব্রহ্মের মস্তক হয় ৷৷ ২৫ ৷ শব্দাদিভ্যোহন্তঃপ্রতিষ্ঠানান্নেতি চেন্ন তথা দৃষ্ট পদেশাদসম্ভবাৎ পুরুষমপি চৈনমধীয়তে ॥২৬৷৷ পৃথক পৃথক শ্রীতি শব্দের দ্বারা এবং পুরুষে অন্তঃ প্ৰতিষ্টিতং এ শ্রুতির দ্বারা বৈশ্বানর। এখানে প্ৰতিপাদ্য হয়। পরমাত্মা প্ৰতিপাদ্য নহেন। এমত নহে যেহেতু উপাসনা নিমিত্ত এ সকল কাল্পনিক উপদেশ হয়। আর স্বৰ্গ এই সামান্য বৈশ্বানরের মস্তক হয়। এমত বিশেষণ অসম্ভব এবং বাজসনেয়ীরা আত্মা পুরুষকে বৈশ্বানর বলিয়া গান করেন। অতএব বৈশ্বােনর শব্দে এখানে ব্ৰহ্ম তাৎপৰ্য্য হয়েন ॥২৬ ৷ অতএব ন দেবতা ভুতঞ্চ ॥২৭৷ পূর্বোক্ত কারণ সকলেব দ্বারা বৈশ্বানর শব্দ হইতে অগ্নির অধিষ্ঠাত্রী দেবতা অর্থাৎ পঞ্চভূতের তৃতীয় ভূত তাৎপৰ্য্য নহে পরমাত্মাকে উপাসনার নিমিত্ত বৈশ্বানরাদি শব্দ দ্বারা বর্ণনা করিয়াছেন ॥২৭৷ সাক্ষাদাপ্যবিরোধং জৈমিনিঃ ॥২৮৷ বিশ্ব সংসারের নর অর্থাৎ কৰ্ত্তা বৈশ্বােনর শব্দের সাক্ষাৎ অর্থ আর অগ্র্য অর্থাৎ উত্তম জন্ম দেন। অগ্নি শব্দের অর্থ এই দুই সাক্ষাৎ অর্থের দ্বারা বৈশ্বানর ও অগ্নি শব্দ হইতে পরমাত্মা প্ৰতিপাদ্য হইলে অর্থ বিরোধ হয় নাই এমত জৈমিনিও কহিয়াছেন ৷৷ ২৮ ৷ যদি বৈশ্বানর এবং অগ্নি শব্দের দ্বারা পরমাত্মা তাৎপৰ্য্য হয়েন তবে সর্ব ব্যাপক পরমাত্মার প্রাদেশ মাত্র হওয়া কি রূপে সম্ভব হয়। অভিব্যক্তেরিত্যাশ্মরথ্যঃ ॥২৯ ৷ আশ্মরথ্য কহেন যে উপলব্ধি নিমিত্ত পরমাত্মাকে প্রাদেশ মাত্ৰ কহা অনুচিত নহে ॥২৯ ৷ অনুস্মৃতেৰ্ব্বাদরিঃ ৷৷ ৩০ ॥=পরমাত্মাকে প্ৰাদেশমাত্ৰ কহা অনুস্মৃতি অর্থাৎ ধ্যান নিমিত্ত বাদরি মুনি কহিয়াছেন ॥৩০ ॥ সংপত্তোরিতি জৈমিনিস্তথাহি দৰ্শয়তি ॥৩১৷৷ উপাসনার নিমিত্ত প্ৰাদেশ মাত্র এরূপে পরমাত্মাকে কহা সুসিদ্ধ বটে। জৈমিনি কহিয়াছেন এবং শ্রীতিও ইহা কহিয়াছেন ৷৷ ৩১ ৷ আমিনন্তি চৈনমস্মিন ॥ ৩২ ৷ পরমাত্মাকে নৈশ্বােনর সম্বর পৈ শ্রুতি সকল স্পষ্ট কহিয়াছেন তথাহি তেজোময় অমৃতময় পুরুষ ভুগ্নিতে আছেন। অতএব