পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান । R&Y কহিবেন, প্ৰথমে সেই বহিমুখ কাম্য কৰ্ম্মির নিন্দা করিতেছেন ( যএতান ইত্যাদি শ্লোক দ্বারা ) অর্থাৎ যাহারা আমার কথিত ভক্তি পথ ও জ্ঞান পথ ত্যাগ করিয়া চঞ্চল ইন্দ্ৰিয়ের দ্বারা ক্ষুদ্র কামনার সেবা করে তাহারা সংসারে পুনঃ পুনঃ জন্মে ৷ জ্ঞাননিষ্ঠদের মধ্যে উত্তম সাধনাবস্থা যে ব্যক্তিদের হয় নাই তাহদের প্রতি ধৰ্ম্ম সংহারিক কহেন “যে তোমাদের না। অধিকারাবস্থা না। সাধনাবস্থা না সিদ্ধাবস্থা”। অতএব ধৰ্ম্ম সংহারককে জিজ্ঞাসা করি যে তিনি বিষ্ণু উপাসনা বিষয়ে অধিকারাবস্থায় হয়েন কি সাধনাবস্থায় কি সিদ্ধাবস্থায় আছেন বিষ্ণু প্ৰভৃতি উপাসকের অধিকারাবস্থায় এই সকল লক্ষণ হয়, তন্ত্রসার ধূত বচন ( শান্তোবিনীতঃ শুদ্ধাত্মা ইত্যাদি ) যাহা ২৮৪ পৃষ্ঠে ৫ পংক্তিতে লেখা গিয়াছে অতএব বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বিবেচনা করিবেন যে অন্তরিান্দ্ৰিয় ও বাহেন্দ্ৰিয় নিগ্ৰহ প্ৰভৃতি। ঐ বচন প্ৰাপ্ত বিশেষণ সকল তাহতে আছে কি না । এবং ঐ উপাসনায় সাধ নাবস্থার লক্ষণ সকল এই হয়। বৈষ্ণব গ্রন্থে ( তৃণাদপি সুনীচেন তরোরপি সহিষ্ণুনা । অমানিনা মানদেন কীৰ্ত্তনীয়ঃ সদা হরিঃ) তৃণ হইতে নীচ আপনারে জানে এবং বৃক্ষ হইতেও সহিষ্ণু হয়, আত্মাভিমান শূন্য কিন্তু অন্যেবা সন্মান দাতা। এমত ব্যক্তি সর্বদা হরিসংকীৰ্ত্তন করিতে পারে। ভগবদগীতা, ( সমঃ শত্ৰৌ চ মিত্ৰে চ তথা মানাপমানয়োঃ ইত্যাদি৷ ) অর্থাৎ শত্রু মিত্ৰে মান অপমানে সমান বোধ করিলে ভক্ত ব্যক্তি ভগবানের প্রিয় হইবেক। তথা, ( মচ্চিত্তামদগতপ্ৰাণ বোধয়ন্তঃ পরস্পরং । কথযন্তশ্চ মাং নিত্যং তুষ্যন্তি চ রমন্তি চ।) অর্থাৎ যাহারা আমাতেই চিত্ত ও আমাতেই সৰ্বেন্দ্ৰিয় রাখে ও আমার ও আমার গুণকে পরস্পর জানায় ও সর্বদা আমার কীৰ্ত্তন করে ইহার দ্বারা পরমহলাদ প্ৰাপ্ত হইয়া নিবৃত্তি হয়৷ অতএব বিজ্ঞ লোক সকল দেখিবেন যে পূর্বলিখিত বচন প্ৰাপ্ত সাধনাবস্থায় লক্ষণ সকল তঁহাতে আছে কি না। পরে ভক্তির সিদ্ধাবস্থার