পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

어T 75 | SSA কৰ্ম্ম ত্যাগ জন্য পাপস্পর্শে না এবং তাহার বাঞ্ছিত ফলোৎপত্তিতে অন্য কোন বস্তুর অপেক্ষা নাই, যথা (, নৈব তস্য কৃতে নার্থে নাকৃতেনেহ কশ্চন। ন চাম্ভ সৰ্ব্বভুতেষু কশ্চিদৰ্থব্যপাশ্ৰয়ঃ) সেই জ্ঞানির কৰ্ম্ম করিলে পূণ্য হয় না এবং কৰ্ম্ম না করিলেও পাপ হয় না, আব্রহ্ম কীট পৰ্যন্ত তাবৎ জগতে তাহার মোক্ষ প্ৰাপিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান ব্যতিরেকে অন্য কোনো উপায় আশ্ৰয়ণীয় হয় না ৷” অতএব এই সকল বচনের ঐক্য নিমিত্তে কোন অধিকায়ে বৰ্ণাশ্রমাচার কৰ্ম্মের আবশ্যকতা এবং কোন অধিকারে অনাবশ্যকতা ইহার বিশেষ জ্ঞানের সর্বথা অপেক্ষা করে, নতুবা বচন সকলের পূর্বাপৰ অনৈক্য হইয়া অপ্রমাণ্যের আশঙ্কা হয়। বেদান্তের তৃতীয় অধ্যায্যে চতুর্থ পাদে অধিকারের বিশেষ বিবরণ করিয়াছেন, তাহার প্ৰথম সূত্ৰ ( পুরুষার্থেতিঃশব্দাদিতি বাদরায়ণঃ ) বেদান্ত বিঙ্কিত আত্মজ্ঞান হইতে পুরুষাৰ্থ সিদ্ধ হয়, বেদব্যাসের এই মত যেহেতু বেদে ইহা কহিয়াছেন, শ্রুতিঃ । তিরতি শোকমাত্মবৎ ) আত্মজ্ঞান বিশিষ্ট ব্যক্তি শোকের কারণ সংসার হইতে উত্তীর্ণ হয়েন ( ব্রহ্মবিদ্যাপ্নোতি পরং ) ব্ৰহ্ম জ্ঞান বিশিষ্ট পরব্রহ্মকে প্রাপ্ত হয়েন (সসৰ্ব্বাংশ্চ লোকানাপ্নোতি সৰ্ব্বাংশ্চ কামান) সেই আত্মনিষ্ঠ সকল লোককে প্রাপ্ত হয়েন এবং সকল কমানাকে প্ৰাপ্ত হয়েন ইত্যাদি শ্রুতিঃ ইহার পর দ্বিতীয় সুত্র অবধি ২৪। সুত্ৰ পৰ্য্যন্ত জৈমিনির মতকে লিখেন এবং তাহার খণ্ডন করিয়া ২৫। সুত্রে ঐ প্রথম সুত্রের অনুবৃত্তি করিতেছেন। ( অতএব চাক্ষ্মীন্ধনাত্মনপেক্ষা ২৫ ) যেহেতু কেবল আত্মজ্ঞানের দ্বারা পুরুষাৰ্থ সিদ্ধ হয়। অতএব অগ্নিহোত্ৰ প্ৰভৃতি আশ্রম কৰ্ম্ম সকলের অপেক্ষা নাই। এই সুত্রের দ্বারা সংশয় উপস্থিত হয় যে আত্মজ্ঞান সৰ্ব্ব প্রকারে কৰ্ম্মের অপেক্ষা করেন না কি কোনো অংশে কৰ্ম্মের অপেক্ষা করেন, তাহার মীমাংসা পরের সুত্ৰে করিতেছেন ( সৰ্বপেক্ষা চ যজ্ঞাদিশ্রাতের শ্ববৎ। । ২৬ ) আত্মজ্ঞান আশ্রম কৰ্ম্ম সকলের