পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান । NODYCA গ্ৰন্থকারেরা কেহ কোন স্থানে বিষ্ণুর অবতার কাহেন নাই, বরঞ্চ ঐ গৌরাঙ্গ মত স্থাপক তৎকালীন গোসাইরা, র্যাহাঁদের তুল্য পণ্ডিত ওমতে জন্মে নাই, তঁাহারা যদ্যপিও গৌরাঙ্গকে বিষ্ণু রূপে মানিতেন। কিন্তু কোন প্ৰসিদ্ধ গ্রন্থে এ অনন্ত সংহিতার বচন সকল লিখেন নাই, যাহাতে গৌরাঙ্গ বিষ্ণুর অবতার হয়েন ইহা স্পষ্ট প্রাপ্ত হয়, এখন বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বিবেচনা করিবেন, যে এমত ব্যক্তি হইতে কি কি বিরুদ্ধ কৰ্ম্ম না হইতে পারে যিনি গৌরাঙ্গকে অবতার স্থাপনের নিমিত্ত এ সকল বচনকে ঋষি প্ৰণীত কহিয়া লোকে প্ৰসিদ্ধ করেন ; কিন্তু পণ্ডিতেরা এ সকল কল্পনাতে কদাপি ক্ষুব্ধ হইবেন না, যেহেতু যে সকল পুরাণ ও সংহিতাদি শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ টীকা না থাকে তাহার বচনের প্রামাণ্য প্ৰসিদ্ধ সংগ্ৰহকারের ধূত হইলেই হয়, এই সৰ্ব্ব এ নিয়ম আছে, তাহার কারণ এই সে এরূপ ধৰ্ম্মসংহারিক সৰ্ব্ব কালেই আছেন, কখন গৌরাঙ্গকে অবতার করিবার উদ্দেশে অনন্ত সংহিতার নাম লইয়া দুই কি দুই শত অনুষ্টিপ ছন্দের শ্লোক লিখিতে অক্লেশে পারেন, কখন বা নিত্যানন্দের অবতার স্থাপনার জন্যে নাগ সংহিত কহিয়া দুই চারি বচন লিখিবার কি অসাধ্য তাহদের ছিল, কখন বা ফণিসংহিতা নাম দিয়া অদ্বৈতের প্রমাণের নিমিত্ত চরি৷ পাচ শ্লোক প্ৰমাণ দিতে পারিতেন, বরঞ্চ কক্কট সংহিতার নাম লইয়া এই ধৰ্ম্মসংহারক ধৰ্ম্ম সংস্থাপক রূপে অবতীর্ণ হওয়ার প্রমাণ দিতে সেই সকল লোকের আশ্চৰ্য্য কি, অতএব ঐ সকল লোক হইতে এই রূপ ধৰ্ম্মচ্ছেদের নিবারণের নিমিত্ত পণ্ডিতেরা পুরাণ সংহিতাদির প্রমাণ্যের বিষয়ে এই নিয়ম করিয়াছেন, অর্থাৎ প্ৰসিদ্ধ টীকা সম্মত অথবা প্ৰসিদ্ধ গ্ৰন্থকার ধৃত ব্যতিরেক সামান্যত বচনের গ্ৰাহ্যতা নাই, যদ্যপি এই নিয়মের অন্যথা করিয়া প্ৰসিদ্ধ টীকা রহিত ও অন্য গ্ৰন্থকারের ধূত বিনা পুরাণ সংহিতা তন্ত্রাদি শাস্ত্রের নামোল্লেখ মাত্ৰ বচনের প্রামাণ্য জন্মে। তবে তন্ত্ররত্নাকরের প্রমাণ গৌরাঙ্গ