পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথ্য প্ৰদান NOOO কি মধুর বচন শুনিতে পাই অন্তঃকরণে পুলকিত হই”। ১৪৭ পৃষ্ঠে ১৬। পংক্তিতে “লোকযাত্রা শব্দে কেবল মদ্যমাংস ভোজনাদি এই অর্থ কি মহাদেব তঁহার কানে কানে কহিয়াছেন।” এখন বিশিষ্ট লোকেরা বিবেচনা করিবেন যে শাস্ত্রীয় বিচারে এসকল উক্তি পণ্ডিতেরা করেন। কি জঘন্য নীচেরা এই সকল কদাক্তিকে সরস বাঙ্গ বোধ করিয়া ও তদযোগ্য লোকের প্ৰশংসার নিমিত্ত উল্লেখ করিয়া থাকে, সে যাহা হউক আমাদের নিয়মানুসারে এসকল কটুক্তির উত্তর দিবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু ঐ সকল পৃষ্ঠের মধ্যে যে কিঞ্চিৎ শাস্ত্রীয় কথা আছে তাহার উত্তর লিখিতেছি। ১২৬ পৃষ্ঠে লিখেন যে “তত্ত্বজ্ঞানির হিংসা মাত্ৰই অবিহিত হয়। কিন্তু যে যে কৰ্ম্মে হিংসাব বিধি আছে। সেঈ সকল কৰ্ম্মে তাহাদিগের প্রতি অনুকল্পের বিধান করিয়াছেন”। উত্তর । -তত্ত্বজ্ঞানি শব্দের মখ্যার্থ প্ৰাপ্ত জ্ঞান ব্যক্তিরা হয়েন, তাহদের প্রতি কৰ্ম্মেরি বিধি নাই। সুতরাং কৰ্ম্মের অঙ্গ যে হিংসা তাহার অনুকল্প সুদূর পরাহত হয়, ভগবদগীতা ( নৈব তস্য কৃতেনাথো নাকৃতেনেহ কশ্চন ) অর্থাৎ জ্ঞানির কৰ্ম্ম করিলে পুণ্য নাই এবং কৰ্ম্ম ত্যাগে পাপ হয় না। বিশেষত তত্ত্বজ্ঞানিদের মধ্যে কেহ কেহ যেমন জনক বশিষ্ঠাদি যখন লোক সংগ্রহের জন্যে যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম করিয়াছিলেন তখন বিহিত হিংসাও করিয়াছেন, অতএব তত্ত্বজ্ঞানির প্রতি অনুকল্পের বিধি দিয়াছেন। এরূপ কথন এমতেও অযুক্ত হয়। তত্ত্বজ্ঞানি শব্দে যদি প্ৰাপ্ত জ্ঞান না কহিয়া জ্ঞানেচ্ছুক অভিপ্রেত হয় তবে তাহারা সাধনাবস্থায় দুই প্ৰকার হয়েন তাহার উত্তম কল্প বৰ্ণাশ্রমাচার বিশিষ্ট সাধক ও কনিষ্ঠ কল্প বৰ্ণাশ্রমাচারহীন সাধক, তাহাতে বৰ্ণাশ্রমাচার বিশিষ্ট সাধকের হিংসাত্মক নিত্য নৈমিত্তিক যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য হয়। যাহা এই পুস্তকের ২৯৮ ও ২৯৯, পৃষ্ঠ অবধি বিস্তাররূপে লিখা গিয়াছে এবং যজ্ঞীয় মাংস ভোজনের আবশ্যকতা মনু বচনে প্ৰাপ্ত হইতেছে যথা মনুঃ (নিযুক্তস্তু