পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

어T 27F v98S তীর্থযাত্রায়াং মাতাপিত্রোগুরেী মৃতে । আধানে সোমপানে চ বপনং সপ্তসু স্মৃতং )-প্ৰায়শ্চিত্ত ও চুড়াতে কেশ ছেদন প্ৰসিদ্ধই আছে” এস্থলে জিজ্ঞাস্ত এই যে ঐ বচন প্ৰাপ্ত যে বপন শব্দ তাহার তাৎপৰ্য্য যদি সৰ্ব্ব কেশ মুণ্ডন হয়, তবে প্ৰয়াগ ও প্ৰায়শ্চিত্তাদি স্থলে কেবল ঐ বচনানুসারে ব্যবস্থার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু পিতৃ মাতৃ গুরু, মরণে ও আরাধনাদিতে ঐ বচন প্রাপ্ত ব্যবস্থাৰ অনাদর দেখিতেছি, আর যদি শিখা ব্যাতিরিক্ত মুণ্ডন ঐ বচনস্থ বপন শব্দেব অর্থ হয়, তবে প্ৰয়াগ ও প্ৰায়শ্চিত্তাদি স্থলে ঐ বচন প্রাপ্ত ব্যবস্থার বিরুদ্ধ ব্যবহার দৃষ্ট হইতেছে, তাহাতে অন্য বচনের সঠিত এক বাক্যতা করিয়া মিতাক্ষরাকার প্রয়াগে ও শিখা ব্যাতিরিক্ত কেশ বপন অঙ্গীকার করেন, কিন্তু স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য প্ৰয়াগাদিতে বচনান্তর প্রমাণে সৰ্ব্ব মণ্ডন কৰ্ত্তব্য কহিয়াছেন, সেই ৰূপ পূর্ণাভিষেকিবা বিশেষ সংস্কারে শিপা ত্যাগে পাপ বুদ্ধি করেন না। যদি আমাদের মধ্যে মস্তকের উদ্ধ ভাগে গ্ৰন্থি বন্ধন যোগ্য কেশের বপন কেত করিয়া থাকেন, তদ্বিষয়ে অ্যামরা প্রথম উত্তরে ২৪০ পৃষ্ঠে লিখিয়াছি যে ( এরূপ ক্ষুদ্র দোষে মহাপাতক শ্রীতি যে সকল বিষয়ে আছে তাহতাব ক্ষয়ের নিমিত্ত ঐরূপ অল্পায়াস সাধ্য অন্ন হিরণ্যাদি দােনরূপ উপায় ও আছে ) অর্থাৎ নিন্দার্থ বচন প্ৰাপ্ত ব্ৰহ্মহত্যাদি পাপ স্তুত্যৰ্থ বচন প্ৰাপ্ত ব্ৰহ্মহত্যাদির প্ৰায়শ্চিত্তের দ্বারা নাশকে পায় এবং ইতার প্রমাণোল নিমিত্ত আমরা তিন বচন লিখিয়ছিলাম, যাহার তাৎপৰ্য্য এই ছিল যে অন্ন হিরণ্যাদি দানে ব্ৰহ্মহত্যাদি পাপক্ষয় হয়। আর ক্ষণমাত্র ও জীব ও ব্রহ্মের ঐক্য চিন্তা করিলে সৰ্ব্ব পাপ নষ্ট হয়। তাহার প্রত্যুত্তরে ধৰ্ম্মসংহারক। ১৭০। পৃষ্ঠে ১৫ পংক্তি অবধি লিখেন যে “বৃথা কেশ চ্ছেদনে শিখা বিরহে সুতরাং শিখা বন্ধনের অভাবে সেই শিখ রহিত ব্যক্তির তৎকৃত সন্ধ্যা বন্দনাদি কৰ্ম্মের প্রত্যহ বৈগুণ্য জন্মে” পরে ১৭১ পৃষ্ঠে স্মৃতি বচন লিখিয়া ৮