NOV8 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী অবশ্যই অনভিষিক্ত ব্ৰাহ্মণ পর জানিবে) এবং দীপিকাকারের পূর্ব, কালীকল্পলতাকার প্রভৃতি অতি প্ৰাচীন আচাৰ্য্যেরাও এই রূপ মীমাংসা করিয়াছেন তাহারাও কি কুলার্ণব মহানিৰ্ব্বাণ মাত্ৰদশী ছিলেন ? কালীকল্প লতাসারে মদ্যপানের বিধায়ক ও নিষেধক নানা শাস্ত্রীয় বচন লিখিয়া পশ্চাৎ সমাধান করেন যে ( দেবতাধিকারভাবভেদেন তত্তচ্ছাস্ত্রবচনোথিতিবিরোধঃ সমাধেয়ঃ ) দেবতা অধিকার ও ভাব ভেদে সেই সেই শাস্ত্রের বচন হইতে উৎপন্ন যে পরস্পর বিরোধ তাহার সমাধা করিবে ৷ সেই অভিষেক দুষ্ট প্রকার হয় এক পূর্ণাভিষেক দ্বিতীয় শাক্তাভিযেক তাহার ক্রম ও অনুষ্ঠানের বিবরণ তন্ত্র শাস্ত্ৰে দেখিবেন ৷ ধৰ্ম্ম সংহারক। ১৯৭ পৃষ্ঠে ৬ পংক্তি অবধি কালীবিলাস তন্ত্রের বচন লিখেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে ভুরি পান কলিতে করিবেক না এবং পান করিয়া করিষা পনরায় পান কবিয়া ভূমিতলে পতিত হয়। পরে উত্থিত হইয়া পুনৰ্ব্বারা পান করিলে পুনর্জন্ম হয় না ইত্যাদি বচন সকল সত্যাদি যুগে সন্মত হ, কলিযুগে মদ্যপান করিলে পদে পদে ব্ৰহ্মহত্যার পাপ হয় সত্য ত্রেতা যুগে মস্ত শোধন প্রশস্ত হয় কলিযুগে মদ্য শোধন নাই এবং কলিতে মদ্যপান নাই। উত্তর।—এই কালীবিলাস তন্ত্রের বচন কোন গ্ৰন্থকারের ধূত হয় তাহ ধৰ্ম্ম সংহারককে লেখা কৰ্ত্তব্য ছিল, দ্বিতীয়ত, ইহার প্রথম দুই বচন কলিযুগে অধিক পানের নিষেধ করণ দ্বারা বিহিত এবং শাস্ত্ৰোক্ত পরিমিত পানের অনুমতি দিতেছেন, কিন্তু পরের বচনে প্ৰাপ্ত হইতেছে যে কলিযুগে মদ্য শোধন নাই এবং মদ্যপান কৰ্ত্তব্য নহে, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে পশুদের মদ্যপান ও মদ্যশোধন কৰ্ত্তব্য নহে, কালীকল্পলত ধৃত কুলতন্ত্ৰ বচন (সুরায়াঃ শোধনং পানং দানং তৰ্পণমন্বিকে। পশূনাং গৰ্হিতং দেবি কৌলানাং মুক্তিসাধনং) মদিরাব শোধন, পান, দান, তৰ্পণ, পশুদের সম্বন্ধে নিন্দিত কিন্তু কৌলদের সম্বন্ধে মুক্তি
