পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

커 27R | NONO তাহাতেই কেবল বাঞ্ছা হয়। শত কোটি কল্পেও তাহদের সদগতি नांछे। তাহাতে যদি ধৰ্ম্মসংহারকের লিখিত কুৰ্ম্ম পুরাণ পদ্ম পুরাণ ও সিদ্ধলহরীর বচন প্রমাণে বীরাধিকারীয় কুলার্ণব ও মহানিৰ্বাণাদি তন্ত্র সকল মোহনার্থ অসদাগম হয়েন, আর আমাদের ঐ পূৰ্নলিখিত বচন প্রমাণে পশ্বধিকারীয় তন্ত্র সকল মোহনাৰ্থ অসদাগম হয়েন আর ঐ ঐ বচনকে উভয় ধৰ্ম্মের স্তুতিপর স্বীকার করা না যায়, তবে শিবপ্রণীত সকল শাস্ত্রের বৈযর্থ্য ও অপ্রামাণ্য এককালেই হইল, এবং সর্বজ্ঞ ও ধৰ্ম্ম সেতু রক্ষাকৰ্ত্তা পরমারাধ্য ভগবান মহেশ্বরের মিথ্যাবাদিত্বে ও আত্ম পুরুষত্ত্বে শঙ্কা জন্মে এবং মহেশ্বর প্ৰণীত শাস্ত্রের যদি অপ্রামাণ্য হয় তবে ভগবান পরমেষ্টির প্রণীত বেদ শাস্ত্রেরও অপ্রমাণ্যের প্রসক্তি কেন না হয় ? যেহেতু শাস্ত্ৰে তুল্য রূপে উভয়কেই সর্বজ্ঞ আগু ও সত্য স্বরূপ একাত্মা কহিয়াছেন, সুতরাং একের বাক্য লজঘনে অন্যের বাক্য লজঘন হইতেই পারে ; অতএব ধৰ্ম্মসংহারক আপনি এই ব্যবহার দ্বারা যে “এক শাস্ত্রের প্রামাণ্য, অন্য শাস্ত্রের অপ্ৰামাণ্য অবশ্যই কহিতে হইবেক” বেদাগম সৰ্ব্ব শাস্ত্রের উচ্ছেদক হয়েন কি না ? এবং “ধৰ্ম্মসংহারক” এই নাম তাহার উচিত হয় কি না পণ্ডিতেরা বিবেচনা করিবেন। যদ্যপিও ধৰ্ম্মসংহারক। পশু ধৰ্ম্ম বিধায়ক তন্ত্রকে শাস্ত্ৰত্বে মান্য কহিয়া বীরধৰ্ম্ম বিধায়ক তন্ত্রের অপ্ৰমাণ্যের ব্যবস্থা দিলেন, কিন্তু ভগবান মহেশ্বর ইহার বিপরীত সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, অর্থাৎ তাবৎ তন্ত্রের প্রামাণ্য কহিয়া অধিকারি ভেদে পরস্পরের অনৈক্যের মীমাংসা করেন। মহানিৰ্বাণ (তন্ত্রাণি বহুধােক্তানি নানাখােনান্বিতানি চ।। সিদ্ধানাং সাধকানাঞ্চ বিধাননি চ ভূবিশঃ ৷ যথা যথা কৃতাঃ প্রশ্নঃ যেন যেন যদা যদা । তথা তস্তোপকারায় তথৈবেক্তং ময়া প্রিয়ে৷ অধিকারিবিশেষেণ শাস্ত্রাণুক্তি