পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মণ সেবধি । 80S বিশেষতো জন্যেচ্ছারাহিত্যে নানা দেহাদির উৎপত্তি স্থিতি নাশ ও জীবের কৰ্ম্ম ফলদাতুত্বের কারণ তেঁহ কি ক্ৰমে সম্ভবেন বিশেষতঃ কর্তা ও জীব উভয়কেই বড় ঈশ্বর ও ছোট ঈশ্বর কেন না কহি যেমত অধিক ঐশ্বৰ্য্যবান ও অদ্মৈশ্বৰ্য্যবান মধ্যে নূন্যতিরেক তদ্বৎ কৰ্ত্তা ও জীব সম্ভব এবং ঈশ্বরের একত্বের প্রতি অতি ব্যাঘাত । তৃতীয়তো মীমাংসা শাস্ত্ৰে কহেন সংস্কৃত শব্দে রচিত যে মন্ত্র সেই মন্ত্রাত্মক যাগাদি নানাবিধ দ্রব্যযোগে যে আশ্চৰ্যরূপী ফল বর্তে সে ঈশ্বর মনুষ্য জীব মধ্যে নানাবিধ ভাষা এই জগতেও নানাবিধ শাস্ত্ৰ প্ৰকাশ আছে দ্রব্য ও ভাষা উভয়ই জড় মানুষ্যের অধীন এ গতিকে যে কৰ্ম্মের কর্তা মনুষ্যকে দেখিতেছি সেই কৰ্ম্মের ফলকে ঈশ্বর কি ক্ৰমে স্বীকার করি বিশেষত ঈশ্বর কৰ্ম্মরূপী এক ঐ শাস্ত্ৰ এই কহেন নানা কৰ্ম্মরূপী ঈশ্বর এই বিধান দৃষ্টি ঈশ্বরের একত্ব কেমনে প্রতীত হয় অধিকন্তু এ প্ৰমাণে সংস্কৃত শব্দে রচিত কৰ্ম্ম এই পৃথিবীর মধ্যে যেখানে নাই সে দেশকে অনীশ্বরীয় কেননা কহা যায়। পাতঞ্জল শাস্ত্রের মতে ষড়ঙ্গ যোগ সাধনারূপী কৰ্ম্ম কহিয়াছেন তৎপ্রযুক্ত উপরের বিধান দৃষ্টি এক প্রশ্ন ভুক্ত করিলাম। চতুর্থ সাংখ্যমতে প্ৰকৃতি পুরুষ উভয় মিলিত চনক দলের ন্যায় পুরুষের প্ৰাধান্য গণনায় অরূপী ব্ৰহ্ম কহেন। এ বিধানে ঈশ্বরের একত্ব সম্পাদন কেমনে সম্ভব হয় এমতের বিধানে ঈশ্বরের দ্বিত্ব কেন না মানি ইতি । ইহার শেষ লিপিকে দুইয়ের সংখ্যায় লেখা যাইবেক । নমো জগদীশ্বরায় । পূর্ব লিখিত পত্রের উত্তর যাহা সমাচার দর্পণে স্থান পায় নাই। আঠার শত একুশের চৌদ্দঞি জুলাইয়ের সমাচার, দৰ্পণকে কোন প্রধান ব্যক্তি বিবেচনার নিমিত্ত পঠাইয়াছেন তাহাতে দেখিলাম যে হিন্দুর