পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8°ገb” রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । এমতে ঈশ্বর ও মনুষ্য এই দুই জাতিবাচক শব্দের মধ্যে এই মাত্ৰ প্ৰভেদ হইবেক যে মনুষ্যত্ব জাতির আশ্রয় অনেক ব্যক্তি আর ঈশ্বরত্ব জাতির আশ্রয় মিসনরিদের মতে তিন ব্যক্তি হয়েন র্যাহাদের অধিক শক্তি ও সত্ত্ব স্বভাব হয়। কিন্তু কোনো এক জাতির আশ্রয় ব্যক্তি যদি সংখ্যাতে অল্প হয় এবং শক্তিতে অধিক তথাপি জাতি গণনার মধ্যে অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবেক । জগতের বিচিত্র রচনার সূক্ষ্মদৰ্শিদের নিকটে প্ৰসিদ্ধ আছে যে এক পাঠান মৎস্যের গৰ্ত্তে যত ডিম্ব জন্মে তাহা হইতে মনুষ্যত্ব জাতির আশ্রয় সমুদায় ব্যক্তিরা গণনায় নূ্যন সংখ্যা হয় এবং শক্তিতে অতিশয় অধিক হয় এ নিমিত্তে মনুষ্য শব্দের জাতি বাচকত্বে কোন ব্যাঘাত হয়। এমত নহে । আমরা প্ৰত্যক্ষ দেখিতেছি যে মনুষ্যত্ব জাতির আশ্রয় ব্যক্তি দেবদত্ত যজ্ঞদত্ত প্ৰভৃতি যদ্যপিও পণ্ডেতে পৃথক পৃথক কিন্তু মনুষ্যত্ব স্বভাবে এক হয় সেইৰূপ আপনকার মতে ঈশ্বরত্ব জাতির আশ্রয় তিন ব্যক্তি পৃথক পৃথক হইয়া ও ঈশ্বরত্ব স্বভাবে এক হয়েন অর্থাৎ পিতা ঈশ্বর ও পুত্ৰ ঈশ্বর ও হেলিগোষ্টি ঈশ্বর। আপনার কাহেন যে ঈশ্বর এক হয়েন সেকি এইরূপে “ক কহিয়া থাকেন কি আশ্চৰ্য্য। এরূপ র্যাহাদের মত র্তাহারা কিরূপে হিন্দুকে অনেক ঈশ্বরবাদি দোষ দিয়া উপহাস করেন যেহেতু হিন্দুরা অনেকে কহেন যে ঈশ্বর তিন হইতে অধিক হইয়াও বস্তুত ঈশ্বরত্ব ধৰ্ম্মে সকলে এক হয়েন ॥ আমার তৃতীয় প্রশ্ন এই ছিল যে “আপনারা ঈশ্বরকে এক কাহেন অথচ কহেন পিতা ঈশ্বর ও পুত্ৰ ঈশ্বর ও হেলিগোষ্টি ঈশ্বর” ইহা আপনি স্বীকার করিয়া লিখিয়াছেন যে “বায়বেলে পিতা ও পুত্র ও হোলিগোষ্টি এই তিনকে এক ঈশ্বরীয় স্বভাব ও পরিপূর্ণ করিয়া কহেন এবং কহেন যে যদ্যপিও তেঁাহারা তিন পৃথক ব্যক্তি হয়েন তথাপিও এক স্বভাব ও এক ধর্ম হয়েন ও বায়বেলে মানুষ্যের প্রতি আজ্ঞা দেন যে ঐ প্রত্যেক ঈশ্বরকে